মেহেদি হাসান মিরাজের বলটা প্যাডের একটু সামনেই পিচ করেছিল, কিন্তু ফ্লাইট বুঝতে একটু ভুল হওয়ায় শট খেলতে দেরি হয় বিরাট কোহলির। ফলে বল আঘাত হানে পায়ে, বাংলাদেশের জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটেলবরো জানিয়ে দেন আউটের সিদ্ধান্ত।
খালি চোখে আউটই মনে হয়েছিল, কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় প্যাডে লাগার আগে বল ব্যাটে লেগেছিল – তবে ডিআরএস না নেয়ার প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় কোহলিকে। কি জানি, হয়তো ডানহাতি অফ স্পিনারের বিপক্ষে নিজের পরিসংখ্যানের কারণেই আত্মবিশ্বাস পাননি তিনি।
আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে পরিপূর্ণ ব্যাটার ভাবা হয় এই তারকাকে, তাঁর অর্জনও সে কথা বলে। কিন্তু ডানহাতি অফ স্পিনারের বিপক্ষে কেন যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলেন তিনি। অবাক করার মত হলেও সত্যি ব্যাপারটা, অন্য অনেক ডানহাতি ব্যাটাররা যেখানে বাঁ-হাতি অর্থডক্স বোলারদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি দুর্বল সেখানে তাঁর দুর্বলতা ডানহাতি অফ স্পিনে।
টেস্ট ক্রিকেটে বিরাট এখন পর্যন্ত ১১০ ইনিংসে মুখোমুখি হয়েছে ডানহাতি স্পিনারদের। এর মধ্যে ৩৯ বারই আউট তাঁদের উইকেট এসেছেন তিনি। কখনো মঈন আলী কখনো নাথান লিঁও তাঁকে অগ্নিপরীক্ষায় ফেলেছে। এবার মিরাজও সেই তালিকায় যোগ হলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজেও এই তরুণের হাতে ধরা পড়েছিলেন তিনি।
এমনিতেও স্পিনের বিপক্ষে সংগ্রাম করার জন্য কুখ্যাতি আছে কোহলির। ফরম্যাট বদলায়, পরিবেশ বদলায় স্পিনারদের বিপক্ষে তাঁর ধোঁয়াশা কাটে না একটুও। এমন একজন কিংবদন্তির জন্য এমন বাস্তবতা কলঙ্কই বটে।
যদিও রান করার ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছেন এই মহারথী, সেটা বলা যাবে না। ডানহাতি অফ স্পিনারদের বিপক্ষে টেস্টে প্রায় দুই হাজার রান করেছেন তিনি, ব্যাটিং গড়ের হিসেবেও মনে হয় না এটা তাঁর দুর্বল পয়েন্ট। তবে প্রতিপক্ষের অধিনায়ক জানেন তাঁকে আউট করতে হলে একজন ডানহাতি অফ স্পিনারের হাতে বল তুলে দিতে হবে।