নেতৃত্ব থেকে মন উঠে গেছে কোহলির

ভারতের অধিনায়ক হিসেবে তিনি ছিলেন শিরোপা শূন্য। তবে পরিসংখ্যানের বিবেচনায় তিনি আবার লাল বলের ক্রিকেটে ইতিহাসের সেরা কয়েকজন অধিনায়কের মধ্যে অন্যতম। তারপরও বড় কোনো টুর্নামেন্ট না জেতার ব্যর্থতায় সমালোচনা কখনো পিছু ছাড়েনি। বলা হচ্ছে, বিরাট কোহলির কথা।

২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার মাধ্যমে শুরু। এরপর একে একে ওয়ানডে ও টেস্ট নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। তবে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার, জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকর সঞ্জয় মাঞ্জরেকার মনে করেন, বিরাট কোহলির ‘বড়’ হতে অধিনায়ক হওয়ার তেমন প্রয়োজন নেই। শুধু তাই নয়, শচীন টেন্ডুলকারের কথা টেনে দুজনের মধ্যে সাদৃশ্যতা খুঁজেছেন এ ধারাভাষ্যকর।

সম্প্রতি ভারতীয় সাংবাদিক বিমল কুমারের এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এ ক্রিকেটার বলেন, ‘কোহলি আর শচীনের মধ্যে মিলটা হলো, তাঁরা দুজনই মাঠে খেলাটা উপভোগ করে। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোহলি ম্যাচে না থাকলেও কিন্তু মাঠে ছিল। আর আমার মনে হয় না, কোহলি নেতৃত্বের পিছনে সেভাবে ছুটে।’

কোহলিকে নিয়ে মাঞ্জরেকার আরো যোগ করে বলেন, ‘সে খেলাটা উপভোগ করে। আর ভারতকে সে দীর্ঘ একটা সময় নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমার মনে হয় না, তাঁর কোনো স্বপ্ন অপরিপূর্ণ আছে। দলের সাথে থাকা, একসাথে যাওয়া, দলের জয়ে স্বাক্ষী হওয়া- এগুলোই তাঁর কাছে সব কিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

টেস্ট ক্রিকেটে শচীনের সেঞ্চুরি ৫১ টি। বিরাট কোহলি সেই শতকের দৌড়ে এখনো পিছিয়ে রয়েছেন বড় ব্যবধানে। তাঁর সেঞ্চুরি ২৯ টি। কোহলির জন্য শচীনের এই রেকর্ড ভাঙা যে বেশ কঠিন হবে, সেটিই মনে করেন মাঞ্জরেকার।

এ প্রসঙ্গে এই ধারাভাষ্যকর বলেন, ‘শচীন টেন্ডুলকারের ৫১ টি সেঞ্চুরি আছে যেটা সুনীল গাভাস্কারের চেয়ে ১৭টি বেশি। একজন ভাল ব্যাটারের জন্য ওয়ানডেতে রান করা সহজ। কারণ, বোলাররা সব সময় উইকেট খোঁজে না। কিন্তু টেন্ডুলকার এবং কোহলি অবশ্যই বিশেষ কিছু। তাদের টেস্টে অনেক সেঞ্চুরি আছে। তবে আমার কাছে মনে হয়, কোহলির জন্য টেন্ডুলকারের ৫১ সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো কঠিন হবে।’

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link