বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। ভারতের সর্বজয়ী অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির পর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব অর্পিত হয় বিরাট কোহলির কাঁধেই। তবে ১৪০ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ সামলানোটা যেন বাইশ গজে ব্যাটিং করার চাইতেও কঠিন কাজ।
কোহলিও তাঁর পূর্বসূরির পথ অনুসরণ করতে পারেননি। ভারতকে জেতাতে পারেননি কোনো আইসিসি শিরোপা। তবে কোহলির অধিনায়কত্ব হারানো নিয়ে আলোচনা তখন কম হয়নি। বিতর্কটা চলছিল অনেকদিন ধরেই। আইপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক রোহিত শর্মার হাতে অধিনায়কত্ব তুলে দেবার একটা গণদাবীও ছিল ভারতে।
ভারতকে শিরোপা না জেতানোর অপ্রাপ্তি নিয়েই ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন কোহলি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই ছিল দক্ষিন আফ্রিকা সিরিজ। সেই সিরিজে ওয়ানডে ফরমেট থেকেও কোহলির অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয় ভারতীয় নির্বাচক প্যানেল।
সমগ্র ভারতজুড়ে তখন কোহলির অধিনায়কত্ব হারানোর আলোচনা। এমমকি গণমাধ্যমে এসেও সরাসরি নিজের অধিনায়কত্ব হারানোর বিষয়টি যে ভালোভাবে নেননি তা জানান কোহলি। টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়লেও বাকি দুই ফরমেটে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিলেন কোহলি।
এবার ভারতের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা এক স্টিং অপারেশনে জানালেন, কোহলিকে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব না ছাড়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেন তখনকার বোর্ড অফ ক্রিকেট কন্ট্রোল ইম ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু কিছুতেই নিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে রাজি হননি কোহলি। সেখান থেকেই দ্বন্দ্বে জড়ান সৌরভ আর কোহলি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জি নিউজকে দেয়া বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে চেতন শর্মা আরো বলেন, ‘কোহলি বারবার মিডিয়াতে এসে সৌরভের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছিল। কিন্তু কোহলির ওয়ানডের অধিনায়কত্ব হারানোর জন্য আসলে কোহলি নিজেই দায়ী।’
কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে বরখাস্ত করা নিয়ে দেশ জুড়ে প্রবল আলোচনা হলেও চেতন শর্মা জানান, পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নির্বাচকরাও কোহলির সাথে কথা বলেন এবং কোহলিকে জানানো হয় সাদা বলের জন্য একজন অধিনায়ককেই ভাবা হচ্ছে।’
অধিনায়কত্ব হারানোর পুরো বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভাবে নেননি কোহলি। তবে চেতন শর্মা জানান মূলত কোহলির দেয়া সাক্ষাতকার কোহলি- সৌরভের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছিল।
শুধু কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে নয়। ভারতীয় ক্রিকেটারদের ফিটনেস ইস্যুতেও রীতিমত বোমা ফাটিয়েছেন চেতন শর্মা।