বিরাট কোহলি- স্লিপে একসময়ের অভিজ্ঞ সেনানী, কিন্তু ইদানীং যেন রঙ হারাচ্ছেন তিনি। প্রায়ই ছুটে যাচ্ছে সহজ কিছু ক্যাচ। আজকেও মিস করেছিলেন মারনাস ল্যাবুশেনের সহজ সুযোগ। জাসপ্রিত বুমরাহ’র ফুলার লেন্থের বলটা বেশ গতির সাথেই ভিতরে ঢুকে আসছিল, ল্যাবুশেনের ব্যাটের কানায় লেগে সোজা চলে আসে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো কোহলির হাতে। সহজ এই ক্যাচ টাই ধরতে পারেননি তিনি। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারতের জন্য যা হতে পারত বেশ বিপজ্জনক।
সাদা পোশাকে ২০১ ইনিংস খেলা বিরাট ,ক্যাচ ধরেছেন ১১৪ টি। বরাবরই স্লিপের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফিল্ডিং করে থাকেন দক্ষ ও চতুর কোহলি। তবে সুযোগ যেখানে বেশি আসে মিসও সেখানে একটু বেশি হয়। সাধারণত পেস বোলারদের দ্রুত গতির বলগুলো ব্যাটের কানায় লেগে আচমকা চলে আসে স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারদের কাছে। রিফ্লেক্স টাইম পাওয়া যায় খুবই কম।
ক্রিকেটের বহু রেকর্ডের মালিক কোহলি। তবে বেশ লজ্জাজনক এক রেকর্ডেই নাম উঠলো এবার বিরাটের। ২০১১ সালের পর থেকে কমপক্ষে ১০০ টি চান্স পেয়েছেন এমন ফিল্ডারদের মধ্য সর্বোচ্চ ক্যাচ মিসের তালিকায় দুই নম্বরেই নাম তার। শুধুমাত্র জেমস অ্যান্ডারসন তার থেকে বেশি ক্যাচ ছেড়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে, শতকরা ২৯.৬ ক্যাচই ছেড়ে দেন কোহলি।
তিনি বরাবরই ফিটনেস সচেতন , একটিভ একজণ খেলোয়াড়। জেতার জন্য চিতার মত আগ্রাসী থাকেন ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে। সতীর্থ কোনও ফিল্ডার মিস ফিল্ডিং করলে তাদের উপরেও চড়াও হতে দেখা যায় তাকে।
তারমত খেলোয়াড়ের জন্য এমন রেকর্ড বেশ লজ্জাজনকই বটে। কেননা একটা সামান্য ক্যাচ মিসও যে ম্যাচের চিত্র বদলে দিতে পারে তা কে না জানে! উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে কোহলির ছাড়া ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ক্যাচটা। ওয়েলিংটনে ২০১৪ সালের দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯২ রানে গুটিয়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসেও কলাপ্স করেছিল।
তবে মাত্র ৯ রানে ম্যাককালামের ক্যাচ ছাড়েন কোহলি। এরপরেরটা ইতিহাস, প্রায় দুেই দিন ক্রিজে থেকে নামের পাশে আরও ২৯৩ রান যোগ করেন ম্যাককালাম। নামের পাশে ৩০২ রান নিয়ে সেবার মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। এমন লজ্জার কিছু রেকর্ড বা ঘটনা হয়ত ভুলেই যেতেই চাইবেন কিং কোহলি!