মিডল অর্ডারে ধস নামানোয় ওস্তাদ কুলদীপ যাদব

টিম কম্বিনেশন কিংবা উইকেট – যে কারণেই হোক কুলদীপ যাদবকে বসে থাকতে হয়েছিল বেঞ্চে। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। তবে সুযোগ পেয়েছেন সুপার এইটে; তারপর সেটারই ফায়দা তুলেছেন সেরা উপায়ে। আফগানিস্তানের পর বাংলাদেশও অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

লেগ স্পিনারের বিপক্ষেই যেখানে নখদন্তহীন হয়ে পড়েন টাইগার ব্যাটাররা, সেখানে চায়নাম্যান এই বোলার ছড়ি ঘোরাবেন সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। হয়েছেও তাই, পুরো স্পেলে জুড়েই দুর্দান্ত বোলিংয়ের প্রদর্শনী দেখা গিয়েছে। সবমিলিয়ে চার ওভার বল করে তিন উইকেট শিকার করেচেন তিনি, বিনিময়ে খরচ করেছেন মোটে ১৯ রান।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে এই বাঁ-হাতিকে আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা; প্রথম ওভারে উইকেট না পেলেও ব্যাটারদের বাধ্য করেছিলেন খোলসে ঢুকে পড়তে। পরের ওভারে আর সেসবের ধার ধারেননি তিনি, শার্প টার্ন করা একটা গুগলিতে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেছেন তানজিদ তামিমকে। তাঁর শুরুর এই দুই ওভারে স্রেফ ছয় রান এসেছিল।

তবে কুলদীপ বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত হেনেছেন ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে, ইনফর্ম তাওহীদ হৃদয়কে প্যাভিলিয়নে পাঠান এবার। জয়ের আশা ততক্ষণে শেষ টাইগারদের; ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে থাকা সাকিব আল হাসান এরপর থেমেছেন ভারতীয় স্পিনারের চতুর্থ ওভারে।

বলতেই হয়, মাঝের ওভারে নাজমুল শান্তর দলকে নাজেহাল করে ছেড়েছেন তিনি; এর আগে আফগানদের বিপক্ষেও দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে আউট করেছিলেন। সবমিলিয়ে দুই ম্যাচেই পাঁচ উইকেট যোগ হয়েছে ঝুলিতে; আর তাঁর এমন ফর্ম পূর্ণতা দিয়েছে বোলিং বিভাগকে।

পাওয়ার প্লেতে জাসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিংয়ের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর প্রতিপক্ষের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেয়ার জন্য ভারতের এমনই একজনকে প্রয়োজন ছিল। এখন কেবল দেখার বিষয়, সামনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে তিনি কতটা ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link