ভারতের মাটিতে গড়ানো শেষ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট দল ছিল শ্রীলঙ্কা। শুধু তাই নয়, দেশটির একমাত্র বিশ্বকাপজয়ের পথেও জড়িয়ে আছে ভারতের ইডেন গার্ডেনের নাম। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে ক্রিকেটের এই নন্দনকানেই সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল লঙ্কানরা।
তবে ভারতের মাটিতে হওয়া এবারের আসরে যেন বড্ড মলিন শ্রীলঙ্কা। ১০ দলের টুর্নামেন্টে তাদের ঠাই হয়েছে তলানির দিকেই; রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে। গোটা বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্স ছাড়াও লঙ্কানদের সঙ্গী হয়েছে চরম এক লজ্জা। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তাঁরা মাত্র ৫৫ রানেই অলআউট হয়ে যায়।
এই কয়েক মাস আগেও এশিয়া কাপের ফাইনালে তাঁরা একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৫০ রানে অলআউট হয়েছিল। প্রতিপক্ষ ভারত আসলেই কেন শ্রীলঙ্কার এমন অসহায় আত্মসমর্পণ ঘটে? এমন কিছুর পিছনে ভিন্ন কিছু খুঁজে পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার এক সাংসদ।
বিমল ভিরাওয়ানসা নামের সেই সাংসদ শ্রীলঙ্কার কনসালটেন্ট কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসে উপর গুরুতর এক অভিযোগই তুলেছেন। তাঁর মতে, এই দুজনের ইন্ধনে শ্রীলঙ্কা ইচ্ছে করেই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা হেরেছে।
এর স্বপক্ষে তিনি ওয়াংখেড়ের ব্যাটিং উইকেটে টসে জিতেও বোলিং করার সিদ্ধান্তকে সামনে টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হয় জয়াবর্ধনে আর মেন্ডিস মিলে ইচ্ছে করেই দলকে হারাচ্ছে। ওয়াংখেড়ের ব্যাটিং উইকেটে কুশল মেন্ডিস যে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তে স্বয়ং ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও অবাক হয়েছিল। আমাদের এর পিছনের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। সে দিন কেন মেন্ডিসকে ফিল্ডিং নিতে বসেছিলেন জয়াবর্ধনে?’
এরপর এবারের বিশ্বকাপে সবকিছু যে ভারত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সেটি নিয়ে এ সাংসদ বলেন, ‘একটা স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। আইসিসি ভারত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এমনকি শ্রীলঙ্কার নির্বাচক প্যানেলও বোধহয় ভারত দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। তাঁরা এবারের বিশ্বকাপে কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাখেনি, অথচ পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের আগে ঠিকই ভিন্ন একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ক্রিকেটের মাঝে কিছু একটা চলছেই। যেটা মোটেই ভাল কিছু নয়।’