বল অব দ্য সেঞ্চুরির কুয়েত অধ্যায়

শেন ওয়ার্ন, মুত্তিয়া মুরালিধরন, আবদুল রহমান - প্রথম দুইটি নাম পরিচিত মনে হলেও শেষ নামটা নিয়ে খটকা লাগতেই পারে; প্রশ্ন উঠতে পারে কে এই রহমান।

শেন ওয়ার্ন, মুত্তিয়া মুরালিধরন, আবদুল রহমান – প্রথম দুইটি নাম পরিচিত মনে হলেও শেষ নামটা নিয়ে খটকা লাগতেই পারে; প্রশ্ন উঠতে পারে কে এই রহমান। এক কথায় উত্তর দিলে তিনি একজন স্পিনার আর স্পিন কিংবদন্তির সাথে তাঁর সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে হলে জানতে হবে ‘বল অব দ্য সেঞ্চুরি’র ধারণা।

১৯৯৩ সালে মাইক গ্যাটিংকে অবিশ্বাস্য একটা ডেলিভারিতে বোল্ড করেছিলেন ওয়ার্ন। সেই ডেলিভারিতে লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে পিচ করেও ব্যাটারের অফ স্ট্যাম্প উপড়ে দিয়েছিল। এত বিশাল স্পিন আগে কখনোই দেখা যায়নি ক্রিকেট ইতিহাসে, তাই তো এটিকে ‘বল অব দ্য সেঞ্চুরি’ খেতাব দেয়া হয়।

এরপর থেকেই প্রায় সব স্পিনাররা তাঁদের ক্যারিয়ারে এমন একটি ডেলিভারি করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন, কেউ কেউ আংশিক সফলতাও পেয়েছিলেন। বছরের পর বছর ধরে ভক্তরা সেসব বলকে তুলনা করেছে শতাব্দীর সেরা ডেলিভারের সঙ্গে। এবার একজন কুয়েতি বোলারের হাত থেকে আসলো এমনই একটা বল, তিনিই আজকের আলোচ্য আবদুল রহমান।

সম্প্রতি ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এই স্পিনার তাঁর দুর্দান্ত স্পিন এবং অদ্ভুত অ্যাকশন দিয়ে বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছেন। তিনি অফ স্টাম্পের বেশ খানিকটা বাইরে বলকে পিচ করিয়ে লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত করেছিলেন – স্বাভাবিকভাবেই এই ক্লিপ আলোড়ন তুলেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে।

আলোচনার টেবিলের হটকেক এখন এই লেগি। অনেকে তো তাঁর এই বলকে ওয়ার্নের ১৯৯৩ সালের সেই কিংবদন্তি ডেলিভারির সাথে তুলনা করছেন। এমনকি ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়াও নিজের এক্স (টুইটার) একাউন্টে ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন বল অব দ্য সেঞ্চুরি; একই সাথে অবাক হওয়ার ইমোজি ব্যবহার করেছেন তিনি।

অ্যাকশনের দিক দিয়েও এই নব্য তারকার মিল আছে স্পিন গ্রেটদের সঙ্গে। ক্রিকেটের কম খোজখবর রাখেন এমন দর্শকদের কাছে তাঁকে ভারতের হরভজন সিং কিংবা শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন বলে চালিয়ে দেয়া যাবে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...