কাইল মায়ার্স যখন বাংলাদেশে পা রাখলেন, তখন তাঁর দল ফরচুন বরিশালের জন্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূরে থাক, শেষ চারের লড়াই জিইয়ে রাখাই ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু তিনি বরিশাল শিবিরে যোগ দিলেন, খেললেন, মন জয় করলেন এবং শেষ পর্যন্ত সেই দূরের পথ ‘চ্যাম্পিয়ন’ তকমার ফিনিশিং লাইন ছুঁয়েই ক্ষান্ত হলেন। ফরচুন বরিশালের প্রথম বিপিএল শিরোপা জয়ের নেপথ্যে তিনিই আবির্ভূত হলেন নায়ক হিসেবে।
কেননা, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে প্রথম ফাইনাল হারের তিক্ত স্বাদ যে তিনিই দিলেন। প্রথমে বল হাতে শুরুর ধাক্কা, এরপর ব্যাট হাতে কুমিল্লাকে শিরোপা থেকে ছিটকে দেওয়া- দুটো কাজই করেছেন কাইল মায়ার্স। বিপিএলের ফাইনালে ৪৬ রানের পাশাপাশি ১ উইকেট নিয়েছেন এ অলরাউন্ডার। আর তাতেই ফাইনালের ম্যাচসেরার পুরস্কার গিয়েছে তাঁর হাতে।
কুমিল্লার দেওয়া লক্ষ্যটা প্রথমেই সহজ করে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে মাঝে দ্রুত কিছু উইকেট পতনের পর ম্যাচ হারের শঙ্কাও খানিক টা জেগেছিল। কিন্তু সেই সামান্য শঙ্কা কিংবা ধোঁয়াশার ছায়াটাও পড়েনি পরবর্তীতে কাইল মায়ার্সের ব্যাটিং তাণ্ডবে। ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৩০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত যদিও ফিফটি ছোঁয়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। তবে তবে যখন ফিরছেন, ততক্ষণে শিরোপা জয়ের মুকুট প্রাপ্তিও অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে।
অবশ্য কাইল মায়ার্স এবারের টুর্নামেন্ট জুড়েই ফরচুন বরিশালকে রীতিমত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ের আনন্দে হাসিয়েছেন। ৬ ম্যাচ খেলেছেন। তার মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে তাঁর দল। আর এই সময়ে ৯ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ২৪৩ রান করেছেন তিনি। যে ৬ ইনিংসে তাঁর সর্বনিম্ন রানের ইনিংস ছিল ২৫। বাকি ৫ ইনিংসে ১ টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন বটে। তবে চার বার পেরিয়েছেন চল্লিশ রানের ইনিংস।
প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে বরিশাল। বিপিএল জেতার অভিজ্ঞতায় কাইল মায়ার্সের এ আসরই প্রথম। তবে ক্যারিবিয়ান এ অলরাউন্ডার যেভাবে পারফর্ম করলেন, তাতে বলাই বাহুল্য, এবারের আসরের সেরা বিদেশী পারফর্মার ছিলেন তিনিই। ব্যাটিং, কিংবা বোলিং- দুই ক্ষেত্রেই যে ধারাবাহিকতার স্রোতে ভাসিয়েছেন নিজেকে। আর তাতেই প্রথম বারের মতো বিপিএল শিরোপা জিতলেন তিনি।