দলটা হয়তো সময়ের সেরা নয়, তবে এশিয়া মহাদেশের চ্যাম্পিয়ন কিন্তু শ্রীলঙ্কাই। ২০২১ সালে নাটকীয় এক ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল দাসুন শানাকার দল। এবার অবশ্য ফরম্যাট বদলে গিয়েছে, কিন্তু শিরোপা ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর লঙ্কানরা।
আর এই লক্ষ্যে কাদের উপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা সেই উত্তর খুঁজেছে খেলা ৭১।
- দাসুন শানাকা
পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার না হলেও ব্যাটে কিংবা বলে ম্যাচের ফলাফল গড়ে দিতে পারেন দাসুন শানাকা। বিশেষ করে লোয়ার মিডল অর্ডারে ক্যামিও ইনিংস খেলতে পারাটা তাঁর শক্তির জায়গা।
এছাড়া মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পরাস্ত করতে পারেন বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। এই ডানহাতির নেতৃত্বেই গতবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল শ্রীলঙ্কা, এই বছরও সেই চিত্র দেখতে চাইবে ভক্ত-সমর্থকদের।
- ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা
কাগজে-কলমে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বোলার হলেও ব্যাটিংয়ে কম যান না তিনি। দুর্দান্ত লেগ স্পিনে ব্যাটারদের বোকা বানানোর পাশাপাশি হার্ডহিটিং ভালোই জানা আছে তাঁর।
সদ্য সমাপ্ত লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) একইসঙ্গে সর্বোচ্চ রান এবং সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়েছিলেন হাসারাঙ্গা – এমন ফর্ম মহাদেশীয় মঞ্চেও ধরে রাখবেন তিনি সেটাই এখন প্রত্যাশা।
- মাহিশ থিকসানা
অজান্তা মেন্ডিসের মতই বল হাতে কারিকুরি দেখান মাহিশ থিকসানা। সহজ ভাষায় বললে দলের মিস্ট্রি স্পিনার তিনি; তাইতো তাঁর রহস্যের ফাঁদে আটকা পড়ে যায় প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কা দলে বিশ্বমানের পেসার না থাকলেও নতুন বলের ফায়দা তোলার দায়িত্ব ভাল ভাবেই পালন করছেন থিকসানা।
- ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা
পারফেক্ট টিম প্লেয়ার – যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো পজিশনে ব্যবহার করার মত একজন ক্রিকেটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
অভিজ্ঞ এই তারকা শ্রীলঙ্কা দলের গুরুত্বপূর্ণ একজনও বটে। আসন্ন এশিয়ান টুর্নামেন্টে দলকে সামনে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব তাই ডি সিলভার কাঁধেই পড়বে।
- পাথুম নিশাঙ্কা
টপ অর্ডারের একজন ব্যাটার বড় ইনিংস খেলতে পারলে যেকোনো রানের পুঁজি গড়া কিংবা তাড়া করা তুলনামূলক সহজ হয়ে যায়। আর বড় ইনিংস খেলতে পাথুম নিশাঙ্কার চেয়ে ভাল কেউ হতে পারেন না শ্রীলঙ্কা দলে।
ইনফর্ম কুশল মেন্ডিস দুর্দান্ত হলেও ধারাবাহিক নন, তাই তো এশিয়া কাপে নিশাঙ্কাকে নিতে হবে টপ অর্ডার সামলানোর ভার।