শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে গত দুই মে থেকে অনুশীলন শুরু করেছে প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটারদের একাংশ। কিন্তু এখনো অনুশীলনে যোগ দেয়নি শ্রীলঙ্কা থেকে টেস্ট সিরিজ খেলে ফেরা ক্রিকেটাররা। তবে খুব দ্রুতই অনুশীলনে যোগ দিবেন তারা। এমনকি সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে কমতে পারে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনের সময়ও।
আজ মিরপুরে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা করোনা পরিক্ষায় নেগেটিভ হলেই দলের সাথে অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ ছিল জাতীয় দলের সবাইকে একটি অনুশীলনের আওতায় নিয়ে আসা। আমরা সরকারের কাছে থেকে সবুজ সংকেত পেয়েছি তাদের (শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরা সদস্যদের) করোনা টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ হওয়া সাপেক্ষে জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারবে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই তারা অনুশীলন শুরু করবে।’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লিগের (আইপিএল) ১৪ তম আসর স্থগিত হওয়ার পর গত চার এপ্রিল দেশে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। দেশে ফিরেই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। কোয়ারেন্টাইন শেষে ২০ মে দলের সাথে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে ২৩ মে থেকে।
সিরিজ শুরু হওয়ার আগে মাত্র দুই দিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবেন এই দুই ক্রিকেটার। আইপিএলের বায়ো বাবলের মধ্যে ছিল বলে তাদের কোয়ারেন্টাইন সময় সীমা কমিয়ে পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে আলোচনা করছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
যদিও বিসিবির আবেদনে আগে সাড়া দেয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। ভারত ফেরত অন্য যাত্রীদের সাথে সাকিব মুস্তাফিজের পার্থক্য তুলে ধরে বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন তাদের পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ দিতে কোয়ারেন্টাইন কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা অন্যান্য স্পোর্টস ইভেন্ট যাই বলেন একটা আলাদা প্রোটোকল আছে। আমাদের দেশে অথবা যে কোনো জায়গায় যে কোভিড প্রোটোকল আছে এটা কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষ বলতে আমি বলছি যারা সাধারণ যাত্রী তারা একটা টেস্ট নেগেটিভ হয়েই আসছেন। এরপর সরকারের যে নিয়ম সে অনুসারে তারা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মেইনটেইন করছেন। দেখা যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের কয়েকবার করোনা টেস্ট হচ্ছে, নেগেটিভ হলেই তারা ইভেন্টে অংশ নিতে পারছেন। এটা কিন্তু সব জায়গায় হয়ে আসছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন নিউজিল্যান্ড কতটা নিরাপদ ছিল, সেখানেও কিন্তু কোয়ারেন্টাইন ছাড়া অনুমতি মেলেনি। সেখানে সম্প্রতি বাংলাদেশ একটা সিরিজ খেলে এসেছে। সেক্ষেত্রে একটা ইভেন্টে যারা অংশ নেয় তাদের আর সাধারণ জনগণের প্রোটোকল এক হওয়ার কথা না। এখানে আমাদের একটা জটিলতা হচ্ছে, আশা করি খুব দ্রুতই আমরা এটা মিনিমাইজ করে নিতে পারবো।’