লিসান্দ্রো মার্টিনেজ ও আর্জেন্টিনার দুর্দমনীয় হওয়ার কৌশল

খালি চোখে তাঁর নিবেদনটা ধরা যাবে না। কিন্তু, একদম ম্যাচ বাই ম্যাচ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যাবে আর্জেন্টিনার টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ে অন্যতম অবদান একজন সেন্টার ব্যাকের। তিনি লিসান্দ্রো মার্টিনেজ।

টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থেকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে নেমেছিল কলম্বিয়া। তবে, সামনে যে আর্জেন্টিনা। ১-০ গোলে জিতল মেসি-বাহিনী।  ভেঙে গেল উরুগুয়ের রেকর্ড। উরুগুয়ে মোট ১৫ বার কোপা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর্জেন্টিনা ১৬ তম শিরোপা জিতে উঠে গেল সবার ওপরে।

আর এই পুরো যাত্রায় আড়ালের নায়ক বলা যায় লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে। কোপা আমেরিকায় তিনি খেলেছেন পাঁচ ম্যাচ। মিনিটের হিসেবে ৫৫৮ মিনিট। গোল করেছেন একটা।

এটুকুতে আসলে তাঁর অবদানটা পরিস্কার বোঝা যায় না। লিসান্দ্রো যতক্ষণ মাঠে ছিলো আর্জেন্টিনা কোন গোল হজম করেনি। মানে, পাঁচ ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়েই ‘ক্লিনশিট’ রেখেছেন লিসান্দ্রো।

ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে লিসান্দ্রো বদলি হয়ে মাঠে চলে যাওয়ার পর গোল হজম করে আর্জেন্টিনা। টুর্নামেন্টে ওই একবারই আর্জেন্টিনার জালে বল জড়াতে পারে কোনো দল। এখানে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো কিংবা নিকোলাস তাগলিয়াফিকো – কারও অবদানই কম নয়।

আসলে, এই কোপায় আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগ তাঁদের স্মরণীয় পারফরম্যান্স করেছে। আর এর প্রাণভোমরা হলেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনালেও ১১০ মিনিটে গিয়ে তিনি যে ট্যাকেলটা করলেন – সেটা না হলে হয়তো ম্যাচটা হারাতে হত আর্জেন্টিনাকে।

এই ছোটখাটো বিষয়গুলোই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়, একটা দলকে গড়ে তোলে অজেয়। লিসান্দ্রো তেমনই ভয়ডরহীন এক চরিত্র। আর তাঁর এই চরিত্রকে ‘কমপ্লিমেন্ট’ করেন তাঁর সতীর্থরা।

ডিফেন্স লাইনে সবাই সবার দুর্বলতা বা শক্তির জায়গার ব্যাপারে ধারণা রাখেন। ফলে, মাঠে যখন নামেন – তখন কোথায় বাড়তি জোর দিতে হবে সেটা আগাম বুঝতে পারেন। আর এই বুঝতে পারাটাতেই দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link