ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ধারাপ্রবাহের সুতোটাই যেন ধরতে পারছেন না লিটন দাস। আইপিএল দিয়ে যেখানে শুরু করেছিলেন। সেই স্রোতে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কাপ খেলতে এখন আছেন কানাডাতে। কিন্তু ব্যাট হাতে হতাশ লিটনের প্রতিচ্ছবি যেন বারবার ফুটে উঠছে।
লিটন উইকেটে আসবেন। ব্যাট হাতে ক্রিজে নান্দনিকতা আঁকবেন। বাইশ গজে দিবেন শিল্পীর মতো তুলির ছোঁয়া। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই! উইকেটে আসছেন। চোখে পড়ার মতো শট যে খেলছেন না, তা নয়। কিন্তু তার স্থায়িত্বতা আর বাড়ছে না।
এই যেমন ভ্যানকুবার নাইটসের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শুরুটা ভালই করেছিলেন। চার দিয়ে শুরু। এরপর ডাউন দ্য উইকেটে একটা ছক্কাও মেরেছিলেন। আত্মবিশ্বাসের রসদ তাতেই পূর্ণ হওয়ার কথা।
কিন্তু কিসের কি! লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে অস্বস্তিতে পড়ার শুরুটা তারপর থেকেই। আর সেখান থেকে বেরোতেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটলো তাঁর ব্যাটে। সজোরে হাঁকালেন। কিন্তু বলটা বন্দী হলো স্কোয়ার লেগে থাকা ফিল্ডারের হাতে। লিটন থামলেন ১৯ বলে ১৬ রানের হতাশা মাখা এল ইনিংসে। সে হতাশা বুঝি ছুঁয়েছে লিটনকেও।
এমনিতে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কাপের সিংহ ভাগ ম্যাচেই লিটন ছিলেন ছন্নছাড়া। এক ম্যাচে যদিও ৪৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তবে বাকি সব কটা ম্যাচেই তিনি দলকে হতাশায় ডুবিয়েছেন।
ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে লিটনকে শুরুতে দারুণ এক সম্ভাবনাই মনে করা হচ্ছিল। লিটন তার প্রতিদান দেবেন বলে, আইপিএল, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির ফ্রাঞ্চাইজি গুলো আগ্রহও দেখিয়েছিল। কিন্তু লিটন প্রায় ম্যাচেই লিখছেন হতাশার গল্প।
এমন হতাশার গল্পগুলোর ধারাবাহিকতায় সুবর্ণ সুযোগ গুলো হাত থেকে ভবিষ্যতে ছুটে যাবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা এখন থাকছেই। কারণ ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রঙ বদলায় ক্ষণে ক্ষণে। আর সেই বদলানোর প্রক্রিয়ায় অফ ফর্মের লিটনকে কেনই বা দলগুলো পরবর্তীতে নেবে? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
অবশ্য ব্যাট হাতে লিটনের ব্যর্থতার দিনে তাঁর সারে জাগুয়ার্স ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে। আর তাতে এবারের আসরের প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করলো লিটনের দল।
প্রথমে ব্যাট করে সর্বসাকুল্যে ১৩৯ রান করতে সক্ষম হয়েছিল সারে জাগুয়ার্স। কিন্তু ঐ পুঁজি নিয়েই ভ্যানকুভার নাইটসকে ১০১ রানে বেঁধে ফেলে লিটনের দল। ফলত, আগামী ৬ আগস্টের ফাইনালে মাঠে দেখা যাবে লিটন দাসকে। এখন দেখার পালা, ব্যর্থতার মোড়ানোয় এ আসরের শেষটা লিটন ঠিক রাঙাতে পারেন কিনা।