Social Media

Light
Dark

ম্যানচেস্টার ইজ রেড! অল রেড!

এর মধ্য দিয়ে অ্যানফিল্ডে টানা সাত ম্যাচে গোল করার বিরল রেকর্ড যোগ হলো তাঁর ঝুলিতে। তাঁকে কেন লিভারপুলের পোস্টার বয় বলা হয় সেটারই উত্তর পাওয়া গেলো আরেকবার।

গত মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগটা ইনজুরির মাঝেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন লুইস দিয়াজ, তাই নতুন মৌসুমে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে সব শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে দিয়ে দুর্দান্ত ফুটবলের প্রদর্শনী দেখাচ্ছেন তিনি।

ইপ্সউইচ টাউনের বিপক্ষে ভাল খেলেও গোল পাননি কিন্তু ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে এক গোল আর এক অ্যাসিস্ট করে সমর্থকদের স্বস্তি দিয়েছিলেন। আর এবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই উইঙ্গারের পা থেকে আসলো দুই গোল।

বলতে গেলে একাই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন তিনি। ৩৫ মিনিটের মাথায় প্রথম স্কোরবোর্ডে নাম উঠে তাঁর, মোহাম্মদ সালাহর অ্যাসিস্ট থেকে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন।

সাত মিনিট পর একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে, সালাহর অ্যাসিস্ট থেকে পুনরায় গোল করে লিড বাড়িয়ে নেন দিয়াজ। এরই সুবাদে ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় লিভারপুল।

সতীর্থকে দুই দুইবার গোল করানো মিশরীয় তারকা এরপর নিজেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জালে বল জড়ালেন। ডমিনিক সজোবোসলাইয়ের বাড়ানো বল ডি-বক্সের ডান দিকে পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

এর মধ্য দিয়ে অ্যানফিল্ডে টানা সাত ম্যাচে গোল করার বিরল রেকর্ড যোগ হলো তাঁর ঝুলিতে। তাঁকে কেন লিভারপুলের পোস্টার বয় বলা হয় সেটারই উত্তর পাওয়া গেলো আরেকবার।

অলরেডদের যখন এমন অবস্থা, রেড ডেভিলরা তখন ধুঁকছে মুমূর্ষু রোগীর মত। কখনো ক্যাসেমিরো নিজেদের অর্ধে বল হারিয়ে গোল হজমে সাহায্য করছেন কখনো আবার কবি মাইনো বল তুলে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের পায়ে।

নির্বিষ আক্রমণভাগকে নিয়েও কথা বলতে হয়। দিয়াজ-সালাহরা যখন ফুটবল শৈলী দেখাচ্ছেন তখন রাশফোর্ড ফার্নান্দেজ ছিলেন অন্য ভুবনে। স্ট্রাইকার জসুয়া জিরকজি তো সহজ গোল মিস করেছেন একাধিকবার।

এই হারে ম্যান ইউনাইটেড চলে গিয়েছে টেবিলের চৌদ্দ নম্বরে, তিন ম্যাচে তাঁদের অর্জন মোটে তিন পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল আছে টেবিলের দুই নাম্বারে।

যত দিন যাচ্ছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ততই যেন খাদের কিনারায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর শেষ কোথায়? – প্রশ্নের উত্তর খোদ রেড ডেভিলদেরও যেন এখন আর জানা নেই।

Share via
Copy link