অ্যান্টনিও নুসা বল পেয়েই বাড়িয়ে দিলেন লুইস ওপেন্দার দিকে, চোখের পলকে টার্ন করেই ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে একেবারে টপ কর্নার খুঁজে নেন ওপেন্দা। দেখার মতই গোল ছিল, কিন্তু কি দুর্ভাগ্য। বেরসির রেফারি তখনই হাত উচিয়ে জানিয়ে দেন অফসাইডের সংকেত।
আরবি লাইপজিগের দুর্ভাগ্য এখানেই শেষ নয়, এক মিনিট পরে উল্টো নিজেদের জালে বল ঢুকতে দেখে তাঁরা। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের বল মোহামেদ সালাহর মাথা ছুঁয়ে যখন গোলপোস্টের সামনে এসেছিল তখন ডারউইন নুনেজের কেবল আলতো টোকা দিতে হতো। তিনি তাই করেছেন, দল এগিয়ে গিয়েছে। শেষমেষ সেটাই রূপ নিয়েছে জয়সূচক গোলে।
প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ ম্যাচ খেলে স্রেফ এক গোল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেটাও নেই – চলতি মৌসুমের সূচনা নুনেজের জন্য বেশ কঠিনভাবেই হয়েছে। তবু আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে তাঁকে ভরসা করেছেন কোচ, রেখেছেন শুরুর একাদশে। আর সেই ভরসার প্রতিদান দিতেই ম্যাচের একমাত্র গোলটা করেছেন তিনি।
অবশ্য গোল আরও হতে পারতো, একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছিল লিভারপুল। তবে কাজের কাজ হয়নি; কখনও কড গ্যাকপো কখনঅ তাঁর সতীর্থ ফাইনাল টাচে গোলমাল পাকিয়েছেন। পিটার গুলাসচির কৃতিত্ব দিতেই হয়, ছয় ছয়টা সেভ দিয়ে লাইপজিগের সম্মান বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছেন।
যদিও গুলাসচির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরও জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল। স্ট্রাইকারদের ভুলে ভরা দিনে চাপটা ছিল রক্ষণভাগের ওপরে; গোলরক্ষক কেল্লেহার এক্ষেত্রে দিয়েছেন দৃঢ়তার পরিচয়। নব্বই মিনিট জুড়ে তিনি বাজপাখির মত আগলে রেখেছিলেন গোলপোস্টে। এতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা তৃতীয় জয় পেলো অলরেডরা।
অন্যদিকে, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আর্নে স্লটের অধীনে এটি তাঁদের এগারো জয়। কোন কোচের অধীনে প্রথম মাত্র বারো ম্যাচে এত জয় এর আগে কখনোই দেখেনি তাঁরা – তাছাড়া চলতি আসরে সবমিলিয়ে ছয়টা অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে ছয়টাতেই জিতেছে সালাহ, জোতারা। এখনই কিছু বলা যায় না, তবু প্রিমিয়ার লিগ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বড় দাবিদার স্লটের শিষ্যরা সেটা জানিয়ে রাখা ভাল।