More

Social Media

Light
Dark

অ্যালিসনের চোট, জয় পেয়েও অস্বস্তিতে লিভারপুল

ভুল থেকে শিক্ষা নিতে ভুল করেনি অলরেডরা, পরের পুরোটা সময় একক আধিপত্য দেখিয়েছে তাঁরা।

লিভারপুল তখনো বোধহয় গা গরমে ব্যস্ত, ঘড়ির কাঁটা এক মিনিটের ঘরে। ক্রিস্টাল প্যালেস তখনি কাজের কাজটা করে ফেলেছিল, এডওয়ার্ড কেতিয়াহ দুর্দান্ত ভঙ্গিতে পরাস্ত করেন অ্যালিসন বেকারকে। কিন্তু বিধিবাম, রেফারি জানিয়ে দেন অফসাইডের সিদ্ধান্ত। তবে ভুল থেকে শিক্ষা নিতে ভুল করেনি অলরেডরা, পরের পুরোটা সময় একক আধিপত্য দেখিয়েছে তাঁরা।

সবচেয়ে বেশি দাপট দেখিয়েছেন ডিয়েগো জোতা, ক্লাবের হয়ে শততম স্টার্টিং রাঙিয়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন তিনি। কডি গ্যাকপোর মাটি কামড়ানো পাস থেকে হ্যান্ডারসনকে নাটমেগ করেন এই পর্তুগিজ তারকা। এর মধ্য দিয়ে গোল খরার অবসান ঘটে তাঁর, সেই সাথে মৌসুমের প্রথম অ্যাসিস্টের দেখা পান গ্যাকপো।

এদিন জোতা অবশ্য আরো গোল পেতে পারতেন, কিন্তু রায়ান গ্রাভেনবার্চের অবিশ্বাস্য এক থ্রু পাস পেয়ে তিনি কি করতে চাইলেন সেটা নিজেই ভাল বলতে পারবেন। যদিও স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আনতে চেষ্টার কমতি রাখেননি ডাচ উইঙ্গার, একাই নাচিয়ে ছেড়েছেন প্রতিপক্ষকে। তাঁর পা থেকেই একে একে সৃষ্টি হয়েছে গোলের পাঁচটি সুবর্ণ সুযোগ – তবে কাজের কাজ হয়নি।

গোলের সুযোগ এসেছিল প্যালেসের সামনেও, ইসমাইলা সার দূর থেকেই দুর্ধর্ষ একটা গোলা ছোঁড়েন জাল লক্ষ্য করে। কিন্তু অ্যালিসনের দৃঢ়তায় সেই যাত্রায় রক্ষা পায় লিভারপুল, দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ কিছু সেভ করেছিলেন তিনি। যদিও ভাগ্যের কি পরিহাস, নিজেকেই ইনজুরির হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেন না।

৭৭ মিনিটের সময় আঘাত পান এই ব্রাজিলিয়ান, বাধ্য হয়ে তাঁকে তুলে নেন কোচ আর্নে স্লট। ধারণা করা হচ্ছে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন তিনি। তবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরেই বোঝা যাবে কতটা গুরুতর তাঁর অবস্থা।

যদিও মূল গোলরক্ষকের অনুপস্থিতিতে বাড়তি কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি লিভারপুলকে। ম্যাচের শেষ সময়টাতেও স্বাগতিকদের আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছিল দলটির রক্ষণভাগ। তাতেই ১-০ গোলের জয় তুলে নেয় দলটি, এর মধ্য দিয়ে টেবিলের শীর্ষ স্থান আরো মজবুত হলো তাঁদের।

Share via
Copy link