এই দিনটা দেখবেন বলেই ওয়ানডে ক্রিকেট নিশ্চয়ই বিদায় বলেননিকুইন্টন ডি কক। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপটাই ওয়ানডে ফরম্যাটে তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। সেখানেও চারটা সেঞ্চুরি ছিল তাঁর।
তবুও, বিদায় নেওয়ার জন্য সেটাকেই সঠিক সময় মনে করেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন বিশ্বকাপের পর আর খেলবেন না। খেলবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট, মনে দেবেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আর সেই সিদ্ধান্তের সুফলটা এক বছরের মধ্যেই পেয়ে যেতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা।
পারেনি, শেষ পাঁচ ওভারে ৩০ রান তোলার মত সহজ কাজটাই করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। পারবে কি করে, তাঁরা যে চিরকালের চোকার। সুবর্ন সুযোগ হাতছাড়া করা তাঁদের চেয়ে ভাল কেই বা পারে।
সেই ১৯৯২ সাল থেকে শুরু, সেবারের বিশ্বকাপে ফাইনালে জায়গা করে নিতে ১৩ বলে ২২ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের। কিন্তু বৃষ্টি বিরতি সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছিল। সেসময়ের নিয়মের মারপ্যাচে পড়ে এক বলে ২২ রানের অসম্ভব সমীকরণের সামনে পড়ে গিয়েছিল তাঁরা।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে অবশ্য নিজেদের ভুলেই চোকিং করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্রেফ এক রান যখন প্রয়োজন ছিল ফাইনালে উঠতে তখন ল্যান্স ক্লুজনার রান আউট হয়ে হৃদয় ভেঙে দিয়েছিলেন সমর্থকদের। পরের বিশ্বকাপেও এক রানের আক্ষেপ ছিল তাঁদের, ডিএলএসে এগিয়ে থাকতে এক রান দরকার ছিল দলটির। কিন্তু ক্রিজে থাকা মার্ক বাউচার সেটা না জেনেই এক বল ডট দেন ইচ্ছে করেই। ফলে ম্যাচ ড্র হয় আর বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে তাঁরা।
২০০৭ সালের বিশ্বকাপে বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হলেও ২০১১ সালে আবারো জেতার অবস্থায় থেকেও হেরে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ২০১৫ সালে গ্র্যান্ট ইলিয়ট রূপকথা, দুই বলে পাঁচ রানের সমীকরণ মিলিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্সদের কাঁদান কিউই তারকা।
সবশেষ ভারতের বিপক্ষে ৩০ বলে প্রয়োজন ছিল ৩০ রান, হাতে ছয় উইকেট। অথচ শেষ পর্যন্ত গিয়ে সাত রানের হতাশাজনক হার দেখতে হলো তাঁদের। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারো প্রোটিয়ারা কি আজীবন চোকার থাকবে?