অস্বীকার করার উপায় নেই, অন্য যেকোনো দেশের লোয়ার অর্ডারের চেয়ে এক ধাপ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের লেজের ব্যাটসম্যান। শেষদিকে তাই পাঁচ-দশ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতেই ঘাম ছুটে যায় টাইগারদের। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে সেই দুর্নাম ঝেড়ে ফেলার সিদ্ধান্তই যেন নিলো বাংলাদেশ, লোয়ার অর্ডারের নতুন এক রূপ দেখা গেলো এ ম্যাচে।
আর এই পরিবর্তনের নায়ক নাসুম আহমেদ। বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে দলে জায়গা পেলেও ব্যাট হাতে টুকটাক রান করতে জানেন তিনি। আর আজ নিজের ব্যাটিং পরিচয়কে আরো একবার চেনালেন এই বামহাতি। বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত শেখ মেহেদির আগে ব্যাটিংয়ে নেমে করেন ৪৫ বলে ৪৪ রান।
একটা ছয়ের পাশাপাশি ছয়টা চার দিয়ে নাসুম আহমেদ সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে গড়েছিলেন ৩২ রানের জুটি, এরপর মেহেদিকে নিয়ে যোগ করেছেন মূল্যবান ৪৫ রান।
নাসুম আহমেদ মোটেই টেকনিক্যালি সলিড কেউ নন, স্ট্রাইক রোটেশন কিংবা গ্যাপ বের করাতে পারদর্শীও নন ততটা। তবু স্রেফ আত্মবিশ্বাসের জোরেই শাসন করলেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। শুরু থেকেই ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলেছেন; এই সাহসী ইনিংসে কারণেই টপ অর্ডারের ব্যর্থতা সত্ত্বেও ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ১৫ বলে ১৫ রান করেছিলেন নাসুম আহমেদ। এছাড়া অভিষেক ম্যাচে ১৮ রানের ক্যামিও এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। সবমিলিয়ে তাই, টাইগারদের লোয়ার অর্ডারের নতুন ব্যাটিং নায়ক বলাই যায় নাসুমকে।
শুধু নাসুম আহমেদ নয়, সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে রান পেয়েছেন শেখ মেহেদি, তানজিম হাসান সাকিবও। মেহেদি করেছেন ২৯ রান, আর অভিষিক্ত সাকিবের কাছ থেকে এসেছে আট বলে ১৪।
ম্যাচ জিততে ব্যাটসম্যানদেরই দায়িত্ব নিতে হয়, কিন্তু কখনো কখনো লোয়ার অর্ডারের সাহায্যে ম্যাচের চিত্রপট বদলানো যায় অনেকখানি। এইক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে এখনো; তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর নিচের দিকের ব্যাটারদের আবারো আশার জাল বুনতে পারেন সমর্থকেরা।