‘হ্যাটট্রিক – একজন বোলারের কাছে যতটা আনন্দের, একজন ব্যাটরের কাছে ততটাই বিষাদের। আর বিষাদটা হয়তো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের একটুই বেশিই। কারণ, বারবার তিনি – বোলারদের এই আকাশ সমান আনন্দের কারণ হয়েছেন।
ক্যাগিসো রাবাদা, শিহান মাদুশঙ্কা, নাসিম শাহ এবং নুয়ান থুসারা – চারজনে হ্যাটট্রিকেই শেষ মানুষটি হলেন রিয়াদ। ক্রিকেট ইতিহাসে এতবার হ্যাটট্রিকের ‘শিকার’ আর ক’জনই বা হয়েছে। তবে, এবার আর শেষ নয় – প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিকের পথে প্রথম ব্যক্তি হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শুরুটা রাবাদার হাতে। ২০১৫ সালে একদিনের ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকানের। বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই করেন হ্যাটট্রিক। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার একে একে তুলে নেন ৬ উইকেট। এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে হ্যাটট্রিক পূরণে ‘সহায়তা’ করেন রিয়াদ। হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে রিয়াদের প্রত্যাবর্তনকে দু:স্বপ্নই বানিয়েছিলেন রাবাদা।
এরপর ২০১৮ সাল, বোলার শ্রীলঙ্কার শিহান মাদুশঙ্কা। ক্যারিয়ারের একমাত্র হ্যাটট্রিকটা করেন বাংলাদেশের সাথেই। শ্রীলঙ্কান এই পেসারের সাফল্যের পিছনেও রিয়াদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ৪১ ওভারের প্রথম বলেই মাধুসানাকার বল ভাসিয়ে দেন আকাশে। আর সেটা তালু বন্দি করতে ভুল করেননি উপুল থারাঙ্গা।
পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ। ২০২০ সালে টেস্ট ক্যারিয়ারের তিন নাম্বার ম্যাচেই হ্যাট্রিক তুলে নেন তিনি। সেই হ্যাটট্রিক পূরণেও রিয়াদ অবদান রাখেন। শান্ত, তাইজুলের যাওয়ার পর ২২ গজে টিকতে পারেনি রিয়াদ।
সর্বশেষ ২০২৪ সালেও সেই একই কাণ্ড! সিলেটে লঙ্কান পেসার নুয়ান থুসারার হ্যাটট্রিকে এলোমেলো হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। এবারেও এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন রিয়াদ। শান্ত-হৃদয় বোল্ড আউট হওয়ার পর রিয়াদ ফেরেন সাঝঘরে।
এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চেও সেই একই দৃশ্য। তবে, এবার প্রথমেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বোল্ডের ফাঁদে ফেলেন প্যাট কামিন্স। ১৮ তম ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট। এরপর ২০ তম ওভারের শুরুতে আবারও আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স। রিয়াদের পর আউট হন শেখ মেহেদী হাসান ও তাওহীদ হৃদয়। রিয়াদ তখন টিকে গেলে বাংলাদেশের ইনিংসটাও বড় হতে পারত।