বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিরবতায় কাটানো সরব অধ্যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বর্তমান ফর্ম কলঙ্ক ছাপিয়েও এক বিস্তৃত ছোটগল্প যার নেই কোনো বিকল্প। সে ছোটো গল্পেরও শেষ আছে। তবুও গল্পগুচ্ছ তো আর থেমে থাকেনা। বাক্যের পর বাক্য থাকে বহমান। সে সুবাদেই একটা প্রশ্ন রয়েই যায়। কে হবেন সে পথের ভবিষ্যত সারথি? সে হিসেবে আজ সব থেকে ছোট ফরম্যাটেই থাকি।
এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখা যায় শামিম হোসেন পাটোয়ারির নাম। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ মূলত মিডল অর্ডার ব্যাটার। ১৯ আন্তর্জাতি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২১.১৬ গড়ে যার সংগ্রহ ২৫৪ রান। যেখানে আছে এক অর্ধশতক। বিভিন্ন ঘরোয়া ম্যাচ খেলে অভিজ্ঞতা তার ৮৫ ম্যাচের। যেখানে ৫ অর্ধশতকের সাথে আছে ৮ উইকেট।
এছাড়া গত তিন বিপিএলে তার স্ট্রাইক রেট বেশ উল্লেখযোগ্য। তা যথাক্রমে ১৩০.৬৯,১৪০ ও ১৩৫.৬৫। যা তাঁর মারকুটে ব্যাটিংয়ের ধারনা দেয়। ব্যটিং বিবেচনায় উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান সোহানকেও বিবেচনায় নেয়া যায়। সব রকম টি-টোয়েন্টিতে তার স্ট্রাইক প্রায় ১২০।
১৮৭ ম্যাচব্যাপী ক্যারিয়ারে রান তার আড়াই হাজারেরও বেশি। ক্যারিয়ার সেরা তার অপরাজিত ৭৯। প্রায় ২২ গড়ে ব্যাট করেছেন তিনি। অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকেও বিবেচনায় নেয়া যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১৪ স্ট্রাইক রেটে তাঁর রান ৩৮৯। যেখানে ক্যারিয়ার সেরা তাঁর ৪৮। গড় তাঁর ১৮.৫২।
বল হাতেও একবার পাঁচ উইকেট সহ তার আছে ১৮ উইকেট। তাছাড়া সব রকম টি-টোয়েন্টিতে ১৫১ ম্যাচে তার আছে ৬১ টি উইকেট। এখনকার জন্য কিছুটা আগে ব্যাট হাতে নামাবার কথা ভাবলে আফিফ হোসেনকেও বিবচনায় নেয়া যায়। সব রকম টি-টোয়েন্টিতে আফিফের সংগ্রহ ১৭৯ ম্যাচে তিন হাজারেরও বেশি।
যেখানে তার স্ট্রাইক রেট প্রায় ১২৪। তাছাড়া চমৎকার বিপিএল ক্যারিয়ার ছাপিয়েও লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৩১.৪৮। তবে তাকে ব্যাটিং অর্ডারে কিছুটা উপরের দিকে ব্যবহার করাই হবে শ্রেয়। সে বিবেচনায় অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজকে রিয়াদের স্থানে ব্যাট হাতে নামানো যেতে পারে।
এখানে একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে শান্ত কোথায় খেলবেন? শান্তর টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং কতটা কার্যকরী সেক্ষেত্রে সেটাও একটা বিতর্কই বটে। তাছাড়া বল হাতেও আফিফ কম যাননি। বিপিএল অভিষেকে ৫ উইকেট সহ সব রকম টি-টোয়েন্টিতে তার ৩৫ টি উইকেট রয়েছে।
নি:সন্দেহে এদের প্রত্যেকেই একেকজন অনন্য প্রতিভা। যাদের মাহামুদুল্লাহর শূণ্য স্থান দখলের দক্ষতা আছে। তবে এক মাহমুদুল্লাহ হয়ে ওঠার ক্ষমতা হয়তো কারোই নেই।
নক্ষত্রেরাও সবার অজান্তেই কদিন ঝড়ে পড়ে। মাহমুদউল্লাহরাও নীরবেই নিভৃতেই একদিন বাড়ি ফেরেন। তবুও দিন শেষে সাইলেন্ট কিলার তো কেবল একজনই। যার আছে অভিজ্ঞতার ঝুলি। সাথে সামাল দেবার অদম্য ক্ষমতা। যা আদতে কখনোই পূরণ হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।