মিশ্র অভিজ্ঞতার একটা বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দল নতুন নতুন মিশনের অপেক্ষায়। দীর্ঘ অবসরের ইতি ঘটবে পাকিস্তান সফর দিয়ে, আগস্ট মাসের শেষদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। তবে তার আগে পাকিস্তান দলে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে; পরিচিত মুখ সরিয়ে স্কোয়াডে জায়গা পেতে পারে একগাদা তরুণ।
ব্যর্থ বিশ্বকাপ শেষে পাকিস্তান দলে পরিবর্তন আনার ঘোষণা আগেই দেয়া হয়েছিল। সেই পরিবর্তন থেকে টেস্ট দলও ছাড় পায়নি, নির্বাচক এবং হেড কোচ জেসন গিলেস্পি তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন লাল বলের ক্রিকেটারদের ওপর।
বিশেষ করে ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নোমান আলী এবং সায়িম আইয়ুব বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে। ফর্ম এবং ফিটনেস সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁদের ছেঁটে ফেলতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট। আর শূণ্যস্থান পূরণের জন্য মোহাম্মদ হুরায়রা, শাহিবজাদা ফারহানের মত তরুণের ওপর ভরসা রাখতে চাইছে পাকিস্তান। ঘরোয়া লিগে এই তরুণেরা ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন বটে।
এছাড়া ইমাম উল হক, হাসান আলী এবং আমের জামেলের দলে থাকা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে তাঁদের ব্যাপার যতটা না ফর্মের সাথে সংযুক্ত তার চেয়ে বেশি সংযুক্ত ফিটনেসের সঙ্গে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফিট হয়ে উঠতে পারলে তাঁরা স্কোয়াডে থাকবেন সেই সম্ভাবনাই বেশি।
পাকিস্তানের দল ঘোষণা আপাতত থেমে আছে গিলেস্পির জন্য। আপাতত পাকিস্তান শাহীনসের ম্যাচ সঙ্গে ডারউইনে আছেন এই অস্ট্রেলিয়ান; বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ শেষ হলেই পাকিস্তানে ফিরবেন তিনি। এরপর তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ সিরিজের জন্য স্কোয়াড প্রকাশ করা হবে।
সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা পোশাকে মাঠে নেমেছিল বাবর আজম, শান মাসুদরা। এখন আবার নব উদ্যমে নতুন করে সাফল্যের সন্ধান করতে যাচ্ছে তাঁরা – দেখার বিষয় এবারের মিশন কতটা সফল হয়।