তারুণ্যের হাতে ফ্রাঞ্চাইজির শিরোপা

তারুণ্যের জয়গান সবখানেই হয়েছে কম কিংবা বেশি। হোক সেটা যুদ্ধের ময়দানে কিংবা রাজপথের সংগ্রামে। সেই গান ছাপিয়ে গেছে ক্রিকেটের ময়দানও। তরুণ সব খেলোয়াড়দের নিয়ে আনন্দ উৎসবে বারংবার মেতেছে পুরো বিশ্ব।আর নতুন সব ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো যেন তারুণ্যের সেই জয়যাত্রাকে আরো বেগবান করেছে।

তারুণ্যের জয়গান সবখানেই হয়েছে কম কিংবা বেশি। হোক সেটা যুদ্ধের ময়দানে কিংবা রাজপথের সংগ্রামে। সেই গান ছাপিয়ে গেছে ক্রিকেটের ময়দানও। তরুণ সব খেলোয়াড়দের নিয়ে আনন্দ উৎসবে বারংবার মেতেছে পুরো বিশ্ব।আর নতুন সব ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো যেন তারুণ্যের সেই জয়যাত্রাকে আরো বেগবান করেছে।

তারই ধারাবাহিকতায় তরুণ সব অধিনায়কদের ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার নজির ঠাঁই পেয়েছে ক্রিকেটের ইতিহাসের। এমন কিছু তরুণ অধিনায়কদের নিয়েই রয়েছে আজকের আলোচনা।

  • রোহিত শর্মা (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)- ২০১৩

বিশ্বে চলমান ফ্রাঞ্চাইজি লিগ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আর এই আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এখন অবধি পাঁচবার শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। ২০১৩ সালটা তেমনই এক শিরোপা জয়ের বছর। সেবার মুম্বাইয়ের অধিনায়ক ছিলেন রোহিত শর্মা। তাঁর নেতৃত্বে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিলো মুম্বাই।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হেরে যায় তাঁরা। তবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাঁরা রাজস্থান রয়েলসকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। ফাইনলে সেই চেন্নাইকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় তরুণ অধিনায়ক রোহিত শর্মার দল। মাত্র ২৬ বছর ২৬দিন বয়সে এই কীর্তি গড়েন রোহিত।

  • ট্রাভিস হেড (অ্যাডেলেড স্ট্রাইকার্স)- ২০১৭/১৮

বিগ ব্যাশ, পুরোনো ফ্রাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগগুলোর একটি। এখানে মূলত অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ক্রিকেটারই প্রাধান্য পায় বেশি। নিজেদের পাইপলাইন আরো বেশি শক্ত করতেই এই টুর্নামেন্টের আয়োজন। সত্যি বলতে অধিকাংশ ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের ভাবনার জায়গাটা এক। তবে তরুণদের কথা মাথায় রেখে বিগ ব্যাশ আয়োজিত হলেও দলের দায়িত্বভার সর্বদা অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের হাতেই থাকে।

তবে সেই অভিজ্ঞতার ফাঁকফোকড় পেরিয়ে ২০১৭/১৮ মৌসুমে অ্যাডেলেড স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক হয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী ট্রাভিস হেড। শুধু অধিনায়ক হয়েই তিনি ক্ষান্ত হননি। শিরোপা এনে দিয়েছিলেন ফ্রাঞ্চাইজিটিকে। বেশ দাপটের সাথে মৌসুমের লিগ পর্ব শেষ করেছিলো অ্যাডেলেড স্ট্রাইকার্স। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মেলবর্ন রেনেগার্ডসকে হারায় তাঁরা। আর ফাইনালে হারায় হোবার্ট হারিক্যান্স ।

  • স্টিভ স্মিথ (সিডনি সিক্সার্স)- ২০১১/১২

আবারও বিগ ব্যাশ আবারও একজন তরুণ শিরোপা জয়ী। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের দাপটের সাথে খেলে যাওয়া স্টিভ স্মিথ ২০১১/১২ বিগ ব্যাশ মৌসুম চলাকালীন ছিলেন ২২ বছরের এক তরুণ। তাঁর কাঁধেই সিডনি সিক্সার্স ফ্রাঞ্চাইজি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব তুলে দেয়। আর সে দায়িত্ব যথাযথভাবেই পালন করেছেন স্মিথ। যদিও লিগ পর্যায়ে একটু রোলার-কোস্টার সময় পার করেছিলো তাঁর নেতৃত্বাধীন সিডনি।

তবে সেমিফাইনালে আর ভুলচুক করেনি তাঁর দল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হারিয়ে দেয় হোবার্ট হারিক্যান্সকে। অল্প রানের টার্গেট দিয়েও। আর ফাইনালে পার্থ স্কোর্চার্সের সাথে লড়াইটা জমিয়ে সাতবল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় স্মিথের দল। সেই সাথে শিরোপা উঁচিয়ে তোলেন শূন্যে।

  • শাহিন শাহ আফ্রিদি (লাহোর কালান্দার্স)- ২০২২

সবচেয়ে কনিষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে কোন ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট জেতার কীর্তি গড়েছেন পাকিস্তানের বা-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাত্র ২১ বছর ৩২৭ দিন বয়সেই তিনি জিতেছেন পাকিস্তান সুপার লিগের শিরোপা। পাকিস্তান জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ শাহিন শাহ আফ্রিদির উপর ভরসা রেখেছিলো লাহোর কালান্দার্স। সেই ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি।

১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ পর্ব শেষ করে শাহিনে লাহোর। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যায় মুলতান সুলতানের কাছে। দ্বিতীয় এলিমিনেটরে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ছয় রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে লাহোর। ফাইনালে সেই মুলতান সুলতানের বিপক্ষে ৪২ রানের বড় জয় নিয়ে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে লাহোর কালান্দার্স। সাত বছরের আক্ষেপ ঘোচে শাহিন শাহ আফ্রিদির হাত ধরে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...