হ্যারি ম্যাগুয়ার, কি করলেন আপনি? বড়জোর একটা আলতো টোকা প্রয়োজন ছিল সেখানে, কিন্তু আপনি শট নিলেন গোলপোস্টের ওপর দিয়ে! ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জসুয়া জিরকজি যখন পাস বাড়িয়েছিলেন তাঁর দিকে তখন লিভারপুলের রক্ষণভাগ পুরোপুরি এলেমেলো; গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারও জায়গা মতো ছিলেন না।
কিন্তু ম্যাগুয়ার নিজের শটটা গোলবারের ভিতরে রাখতে পারলেন না, পারলেন না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে অবিশ্বাস্য একটা জয় এনে দিতে। অথচ অ্যানফিল্ডে প্রত্যাশার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাল খেলেছিল দলটা, টেবিল টপারদের সঙ্গে তাঁদের পারফরম্যান্স দেখে মনেই হয়নি আগের চার ম্যাচে হেরেছে তাঁরা।
রেড ডেভিলরা প্রত্যাশার সীমা তখনই ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন যখন লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোল করে বসেন। ছয় বছর পর লিভারপুলের দূর্গে এসে জালের দেখা পেয়েছেন কোন ইউনাইটেড ফুটবলার। সবার চোখে অপার বিস্ময় এঁকে দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন।
যদিও লিভারপুলের দাপটে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি লিড, মিনিট পাঁচেক পরেই ম্যাক অ্যালিস্টারের বুদ্ধিদীপ্ত পাস থেকে আন্দ্রে ওনানাকে পরাস্ত করেন কডি গ্যাকপো। আর সেই মোমেন্টাম ধরে রেখেই খানিক বাদে পেনাল্টি আদায় করে নেয় দলটি।
ইনফর্ম মোহামেদ সালাহ স্পট কিক থেকে গোল পেয়েছেন সেটা অবশ্য বলার অপেক্ষা রাখে না। এ নিয়ে চলতি লিগে ১৮টা গোল করলেন তিনি। তবে সালাহর উদযাপন ম্লান করে দিয়েছেন আমাদ দিয়ালো। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে উইনিং গোল করা এই তরুণ আরো একবার মনে রাখার মত একটা মুহূর্ত উপহার দিলেন সমর্থকদের।
চার ম্যাচ হারের পর অবশেষে পয়েন্টের স্বাদ পেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, কিন্তু নিজেদের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নির্ঘাত আক্ষেপে পুড়বে তাঁরা। আর কিছু না হোক, অন্তত ম্যাগুয়ার গোলটা করলেই হতে পারতো দুর্দান্ত একটা স্মৃতি – তবে লিভারপুল হাফ ছেড়ে বেঁচেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।