দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটার তিনি কোনো ভাবেই নন। ব্যারি রিচার্ডস, জ্যাক ক্যালিস, ডেল স্টেইন কিংবা এবি ডি ভিলিয়ার্সদের পূণ্যভূমিতে এমন হাজার হাজার এইডেন মার্করাম এসেছেন আর গিয়েছেন।
কিন্তু, মানুন আর নাই মানুন মার্করাম আক্ষরিক অর্থেই আক্ষেপে মোড়ানো প্রোটিয়া ক্রিকেটের একজন অনবদ্য স্বর্ণবালক। এই স্বর্ণবালক যাতেই হাত দেন, তাই যেন সোনা হয়ে ফলে।
প্রথম প্রোটিয়া অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন যুব বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে তিনি প্রথমবারের মত যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোনো বিশ্বকাপের শিরোপা জেতান। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, সেবার অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে মার্করাম নিয়মিত অধিনায়ক ছিলেন না। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ইনজুরিতে দুই ম্যাচের জন্য দায়িত্ব পান। জয় নিয়ে বাজিমাৎ করেন দু’টো ম্যাচেই।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রোটিয়াদের স্বপ্নের সারথী তিনি। গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচের পর সুপার এইটেও জিতেছেন সবগুলো ম্যাচ। সেমিফাইনাল পর্যন্ত আট ম্যাচের সবগুলোতেই জয়ী দল দক্ষিণ আফিক্র। প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবেন মার্করাম।
প্রশ্ন হল, শিরোপা জিতে কি ইতিহাস গড়তে পারবেন মার্করাম? পরিসংখ্যান সব ভাবেই তাঁর পক্ষে। যুব পর্যায় বা মূল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনি ১৬ বার নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় দলকে। জিতেছেন সবগলো ম্যাচ।
প্রোটিয়ারা বরাবরই চোকার। পারফরম করার মোক্ষম সময়ে তাঁরা ভেঙে পড়তে ওস্তাদ। এই বহুল চর্চিত মতবাদ বারবার ব্যর্থ হয়ে যায়, যখন অধিনায়ক থাকেন মার্করাম। এবার আরেকটি শিরোপার মঞ্চ প্রস্তুত। পারবেন কি মার্করাম? দক্ষিণ আফ্রিকা কি পারবে অধরা শিরোপা অচলায়তন ভাঙতে? উত্তর জানার জন্য সময়ের অপেক্ষা করার কোনো বিকল্প নেই।