আবারও মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে ডাক এসেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার। বাংলাদেশ জাতীয় দল যখন লড়ছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক তখনই বোর্ডের করিডোরে উপস্থিত মাশরাফি। জানা যায় বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের ডাকে সাড়া দিয়েই তিনি পা মাড়িয়েছেন এদিকটায়।
প্রশ্ন নেই নিশ্চয়ই। কারণটা হয়ত সকলেরই জানা। ঠিক কি কারণে মাশরাফি উপস্থিত হয়েছিলেন মিরপুরের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। গেল রাতেই একটা খবর চাউড় হয়েছিল সর্বত্র। বিশ্বকাপে তামিম ইকবাল খান খেলবেন পাঁচ ম্যাচ। যদিও তথ্যটি শতভাগ সত্য নয়। এরপরই আবারও নতুন গুঞ্জন, বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করতে চান না সাকিব আল হাসান।
যদিও এই গুঞ্জনও কিঞ্চিৎ সত্য। সকলের ধারণা তামিম ইস্যুতেই সাকিবের অনীহা। তা নিয়ে আবার বৈঠকও বসেছিল নাজমুল হাসান পাপনের গুলশানের বাসভবনে। ত্রিপাক্ষিক সেই বৈঠকে সাকিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হেড কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। তবে সেই বৈঠকের মূল বিষয় এবং ফলাফল করা হয়নি পরিষ্কার।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল আইসিসিকে পাঠানোর আজকেই শেষদিন। স্বাভাবিকভাবেই সবার ধারণা আজকেই ঘটা করে জানিয়ে দেওয়া হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। তাতেও অবশ্য জটিলতা রয়েছে অনেক। নতুন করে যেই জটিলতার সৃষ্টি করেছেন তামিম। কেননা তিনি শতভাগ ফিট নন, এটা একেবারে দিনের আলোর মতই স্পষ্ট।
তাইতো বিশ্বকাপের জন্যে রওনা হওয়ার আগে তিনি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। মেডিকেল দলের সাথে পরামর্শ করেই দেওয়া হয়েছে সেই শর্ত। বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচ তিনি খেলতে পারবেন না। কেননা তার ইনজুরি যেকোন সময় হাজির হতে পারে। তাকে ভারসাম্য রাখতে হবে খেলা আর বিশ্রামের মাঝে। এমন একজন অনিশ্চিত খেলোয়াড় নিয়ে সাকিবের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবার ব্যাপারে রয়েছে অনীহা।
এই দুই জনের ভেতর মধ্যস্ততা করতেই ডাক এসেছে মাশরাফির। এর আগে তামিমকে অবসর তুলে নিতেও মাশরাফির হস্তক্ষেপ প্রয়োজন পড়েছিল বিসিবির। এতেই তো সংগঠনের কার্যকারিতায় তোলা যায় প্রশ্ন। একটি সংগঠনের আওতাধীন খেলোয়াড়দের মাঝে সমঝোতা করতে প্রয়োজন পড়ছে তৃতীয় ব্যক্তির।
তবে বোর্ড, বোর্ড প্রধান ও বোর্ড কর্তারাদের আসলে কাজটা কি? এমন সব দৃষ্টান্তই তো মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অলিখিত বোর্ড প্রধানে রুপান্তরিত করছে, করছে না?