মাশরাফির অটোগ্রাফ ও একটি অনুপ্রেরণার গল্প

এভাবেই আসলে নিজের অজান্তেই মাশরাফি অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার কিশোরকে।

কৈশোরে গতির ঝড় তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন নড়াইলের কৌশিক। অল্প বয়সেই জাতীয় দলের হয়ে ছুটে বেড়িয়েছেন ক্রিকেটের সবুজ গালিচায়। নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন গোটা দেশের প্রতিনিধি। তবে ক্যারিয়ারটা ঠিক যেভাবে রাঙাবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। তেমনটি হয়নি।

মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্যারিয়ার জুড়েই ছিল ইনজুরির বাঁধা। তবুও তিনি ফিরেছেন বারবার। হাঁটুর সেই ইনজুরিতে অস্ত্রপচার হয়েছে বেশ ক’বার। তবুও যেন দমানো যায়নি মাশরাফি নামক এক বুলেট ট্রেনকে। হাঁটুর ব্যথায় কাতর হয়েছেন। আবার উঠে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছেন। তার লড়াই করবার সেই মানসিকতাই অনুপ্রাণিত করেছে পুরো একটা প্রজন্মকে।

তাইতো অদম্য মাশরাফিকে রোল মডেল মানেন অনেকেই। জাতীয় দলের তাসকিন আহমেদের আদর্শ তিনি। এমনকি দেশের অজ-পাড়া গায়ে ক্রিকেট বল হাতে দৌড়ে বেড়ানো কোন কিশোরও নিজেকে মাশরাফির মতই গড়ে তুলতে চান। হতে চান হার না মানা এক সেনানী। তেমনই এক ক্ষুদে ভক্তই জানালেন নিজের মনের বাসনা।

মাশরাফি বিন মর্তুজা, ক্রিকেটার সত্ত্বা ছাপিয়ে এখন তিনি নড়াইলের জনমানুষের প্রতিনিধি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা থেকে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী তিনি। তাইতো চষে বেড়াচ্ছেন নড়াইল-২ আসনের এ মাথা থেকে ও মাথা। সবার দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছেন তিনি। করছেন গনসংযোগ।

এরই মাঝে নড়াইলের এক কিশোর নিজের ব্যাট বাড়িয়ে দিয়েছেন মাশরাফির দিকে। সেই ব্যাটে শত ব্যস্ততাকে পাশা কাটিয়ে দিয়েছেন অটোগ্রাফ। এই অটোগ্রাফই যেন সেই কিশোরের ক্রিকেট জীবনে কাজ করবে জ্বালানি হিসেবে। আনন্দ ফুটে উঠেছে তার চোখে মুখে। তাইতো এক ফালি হাসি মিশ্রিত কণ্ঠেই বলে উঠলেন, ‘তার (মাশরাফি) কাছ থেকে অটোগ্রাফ নিতে পেরে আমি খুবি খুশি।’

মাশরাফির কিশোর সেই ভক্ত স্থানীয় এক ক্রিকেট ক্লাবে অনুশীলন করছেন। একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবেই নিজেকে গড়ে তোলার কাজটা করে যাচ্ছেন। মাশরাফি যদিও ছিলেন একজন পেস বোলার। তবুও ব্যাটিং অলরাউন্ডার হওয়ার পথে থাকা এই কিশোরের জন্যেও মাশরাফি এক অনুপ্রেরণার নাম। কারণটা সেই হার না মানা অদম্য মানসিকতা।

সেই অদম্য মানসিকতার উপর ভর করে তিনিও খেলতে চান বাংলাদেশ জাতীয় দলে। কিশোর ক্রিকেটার বলেন, ‘আমিও তার মত খেলার মাধ্যমে আমার দেশকে সেবার দিতে চাই, জাতীয় দলে খেলতে চাই এটাই আমার আশা।’ মাশরাফির অটোগ্রাফ নেওয়াটাও তার কাছে বিশাল এক বিষয়। তিনি সেই অটোগ্রাফের সম্মানটুকু রাখতে চান।

এভাবেই আসলে নিজের অজান্তেই মাশরাফি অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার কিশোরকে। তাইতো নিজ নির্বাচনী এলাকায় ভালবাসায় সিক্ত হচ্ছেন মাশরাফি প্রতি মুহূর্ত। মাঠের ক্রিকেটে সাফল্য এসে ধরা দিয়েছে তার হাতে, নির্বাচনের মাঠেও হয়ত ঘটবে তেমনটাই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...