অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের রাগ কমছেই না, মাঠে টাইমড আউট নিয়ে প্রতিবাদের পর ডাগআউটে হেলমেট ছুঁড়ে ফেলেছেন। এরপর সাকিব আল হাসানের উইকেট নিয়ে ঘড়ি দেখানোর সেলব্রেশন করেছেন। ম্যাচ শেষেও থামেননি, সংবাদ সম্মেলনে প্রায় পুরোটা সময় অভিযোগ করে গিয়েছেন। আর সবশেষে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও দেখিয়ে আম্পায়ারদের ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছেন।
অথচ ইনিংস বিরতিতেই ম্যাচ অফিসিয়ালরা স্পষ্ট করেছিলেন যে, হেলমেটের কারণে নয় বরং নিজের অহেতুক দেরির কারণেই আউট হতে হয়েছে এই লঙ্কান ক্রিকেটারকে। এমনকি তাঁকে এই ব্যাপারে আগেই সতর্ক করা হয়েছে।
বিশ্বকাপের জন্য আইসিসির নিয়মে বলা হয়েছে যে, নতুন ব্যাটারকে উইকেট পতনের দুই মিনিটের মধ্যে বোলারের ডেলিভারি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এই দুই মিনিটের মধ্যে শুধু গার্ড নিলেই হবে না, ব্যাটারকে বল খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। এই প্রোটোকল অনুযায়ী টিভি আম্পায়ার উইকেটের পতনের সাথে সাথে সময় গণনা শুরু করেন।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে ম্যাথুস যখন মাঠে এসেছিলেন তখন ১ মিনিট ১০ সেকেন্ড পেরিয়ে গিয়েছিল। তবু তাঁর মধ্যে কোন তাড়না দেখা যায়নি; বরং ধীর পায়ে ক্রিজে এসেছেন, সতীর্থ আসালঙ্কার সাথে কথা বলেন। এসময় লেগ আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ তাঁকে সময়ের ব্যাপারে ওয়ার্নিং দেন।
পরবর্তীতে ব্যাটিং প্রান্তে গেলেও গার্ড নেননি এই ডানহাতি; তখনো গ্লাভস, হেলমেট ঠিক করতে ব্যস্ত ছিলেন। ১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড পার হওয়ার পর স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যাওয়া নজরে আসে; অর্থাৎ ইকুইপমেন্ট ম্যালফাংকশন এর সময় হিসেব করার আগেই টাইমড আউটের জন্য যথেষ্ট সময় নষ্ট করেছেন তিনি।
অবশ্য হেলমেটের ব্যাপারটা আম্পায়ারদের কাছে জানালেও হয়তো বিবেচনা করা যেতো। কিন্তু ম্যাথুস কাউকে কিছু না বলেই ড্রেসিংরুম থেকে নতুন হেলমেট নিয়ে আসার জন্য বলেন। দ্বাদশ খেলোয়াড় সেটা নিয়ে আসে একটু পরে, কিন্তু ততক্ষণে অধিনায়ক সাকিব টাইমড আউটের আপিল করেছিলেন। তাই তো নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা এরাসমাস নিয়মানুযায়ী আউট দিয়েছেন।
হার্শা ভোগলের কথাটাই সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য বোধহয়। তাঁর মত করে ম্যাথুসকে বলতে হয় ‘রুলস ইজ রুলস’। আপনি কষ্ট পেতে পারেন, রাগ হতে পারে কিন্তু দিনশেষে খামখেয়ালির জন্য দায় আপনাকেই নিতে হবে।