আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাবর যেদিন পা রাখলেন, ততদিনে বিরাট কোহলি সময়ের তারকা হয়ে উঠেছেন। সদ্য অভিষিক্ত ক্রিকেটারের সাথে তখন তুলনাটা তাই নিতান্তই বোকামির রূপান্তর।
তবে সময় পেরিয়েছে। ৮ বছরের ব্যবধানে বিরাট কোহলি নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তিতুল্য আসনে। তবে এ সময়কালে বাবর আজম ব্যাটে যেন ছিলেন আরো দুর্দান্ত। আর তাতেই নাম্বার ওয়ান ব্যাটার হয়ে উঠেছেন বাবর। আর বিরাট কোহলি ধারাবাহিক থাকলেও সেরাদের কাতারে নেমে গিয়েছেন র্যাংকিংয়ের ৮-এ।
বাবরের শুরুর পথচলায় বিরাটের সাথে তুলনাটা হাস্যকর হলেও এখনকার পরিস্থিতি কিন্ত তা আর নেই। এখন প্রায়শই পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচে দুই ব্যাটারের তুলনা করতে বসে যান ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি সাবেক অজি ব্যাটার ম্যাথু হেইডেনও সেই তুলনায় নিজস্ব মত দিয়েছেন। তবে তাঁর দৃষ্টিতে আবার বর্তমানে বাবর আজমই কিছুটা এগিয়ে।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাবর আজম চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। একজন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটারের মাঝে যা থাকা প্রয়োজন তার সবটাই ওর মাঝে আছে। আর একই সময়ে যদি এ দুই ব্যাটারের পরিসংখ্যান দেখা যায়, তাহলে বাবরই এগিয়ে।’
ম্যাথু হেইডেন অবশ্য ভুল কিছু বলেননি। বাবরের অভিষেক থেকে বিরাট কোহলি যেখানে ওয়ানডেতে ৪৯.১৬ গড়ে ৪৩৭৬ রান করেছে, সেখানে বাবর করেছে ৫৮.৪৭ গড়ে ৫৩৮০ রান।
সাবেব অজি এ ব্যাটার বাবর আজমকে এগিয়ে রেখেচেন আরেকটি জায়গায়। তাঁর মতে, পাকিস্তান দলে বাবরের ভাল খেলার প্রভাব অনেক। অর্থাৎ পাকিস্তান দলটা তাঁকে কেন্দ্র করে ভাল করে। আর বাবরও সামনে থেকে বছরের পর বছর দলটাকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।
অবশ্য ম্যাথু হেইডেনের চোখে বাবর এগিয়ে থাকলেও দুই ব্যাটারের মুখোমুখি লড়াই বলে ভিন্ন কথা। এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচেও ফিফটি পূরণ করতে পারেননি বাবর আজম। অথচ বিরাট কোহলি পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৫ ম্যাচের মধ্যেই হাঁকিয়েছেন ৩ টি সেঞ্চুরি ও ২ টি হাফ সেঞ্চুরি।
চলতি এশিয়া কাপে সবশেষ ম্যাচেও ঝড়ো সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে হারানো মূল নায়ক ছিলেন এই বিরাট কোহলি। সে হিসেবে ভারত-পাকিস্তান মহারণে বরাবরই ম্লান থাকেন বাবর আজম।