মায়াঙ্করা জাতীয় দলে, ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘রিটেইনশিপ দুশ্চিন্তা’

ভারতের জার্সিতেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন তরুণ ফাস্ট বোলার। কিন্তু তাতে করে যেন কপাল পুড়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের।

২০২৪ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেই (আইপিএল) নজর কেড়েছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। এবার ভারতের জার্সিতেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন তরুণ ফাস্ট বোলার। কিন্তু তাতে করে যেন কপাল পুড়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের। জাতীয় দলের হয়ে দারুণ শুরু করা মায়াঙ্কের অবশ্য কপাল খুলে গেল।

মাত্র ২২ বছর বয়সে গতি দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মায়াঙ্ক। ২০২৪ আইপিএলে পুরোটা সময় তিনি খেলতে পারেননি। ইনজুরি এসে বাঁধা দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই তরুণ এই ক্রিকেটারকে ধরে রাখার পরিকল্পনাতেই ছিল লখনৌ ফ্রাঞ্চাইজি। কিন্তু এবার তাদের গুণতে হবে আগের থেকেও বেশি অর্থ। তবে ভারতের হয়ে মায়াঙ্কের অভিষেক না ঘটলে, স্বল্প মূল্যেই তরুণ প্রতিভাকে নিজেদের ডেরায় রাখতে পারত ফ্রাঞ্চাইজিটি।

আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে খেলোয়াড় রিটেনশনের নিয়মাবলি। সর্বোচ্চ ছয় জন খেলোয়াড়কে রিটেইন করতে পারবে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। নিলামের আগে কিংবা নিলামের সময় রাইট টু ম্যাচ সুযোগ ব্যবহার করে খেলোয়াড় ধরে রাখার সুযোগ ছিল ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর।

সেই ছয় জন খেলোয়াড়ের মধ্যে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে রিটেইন করবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সর্বোচ্চ দুইজন অনভিষিক্ত খেলোয়াড়কে দলে রাখার ব্যবস্থা রেখেছিল আইপিএল কর্তারা। সেদিক থেকে মাত্র চার কোটি রুপিতে অনভিষিক্ত খেলোয়াড়দের রেখে দিতে পারত ফ্রাঞ্চাইজিগুলো।

লখনৌ সে তালিকায় নিশ্চয়ই রেখেছিল মায়াঙ্ককে। কিন্তু তাদের এবার পরিকল্পনা বদলাতে হবে। যেহেতু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ করে ফেলেছেন মায়াঙ্ক, সেহেতু তাকে এখন আর সুলভ মূল্যে ধরে রাখার সুযোগ নেই। নিদেনপক্ষে ১১ কোটি রুপি ব্যয় করতে হবে তার উপর। তাছাড়া মায়াঙ্কের সামনে সুযোগ রয়েছে নিলাম থেকে বিপুল অংকের অর্থের মালিক বনে যাওয়া।

আখেরে ভারত জাতীয় দলে খেলার সুযোগটা মায়াঙ্কের জন্যে হয়েছে লাভের। এখন তিনি যেভাবেই হোক না কেন বিপুল অর্থ উপার্জন করতে চলেছেন আইপিএল থেকে। তাছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আগুন ঝড়ানো বোলিং করেছেন। তরুণ এই প্রতিভা যে আন্তর্জাতিক সার্কিটেও দূর্দান্ত, সেটা জেনে গেছে সকলেই। তাইতো তাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে যেতে পারে নিলামঘরে।

লখনৌ বরং এদিক থেকে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। একই রকম দুশ্চিন্তার বেড়াজালে আটক হয়েছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদও। কেননা তাদেরও পরিকল্পনায় নিশ্চিতরুপেই ছিলেন নিতীশ কুমার রেড্ডি। তাকেও আর অনভিষিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে স্বল্প মূল্যে রিটেইন করতে পারবে না হায়দ্রাবাদ। অন্যদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেও নিজেদের পরিকল্পনার ছক নতুন করে কষতে হবে।

কেননা বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রয়েছেন হার্শিত রানা।  তারও অভিষেক হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনটি ঘটলে কলকাতার কপালেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ ঘনিভূত হবে তা নিশ্চিত।  তবে খেলোয়াড়রা নিশ্চয়ই রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। একদিকে জাতীয় দলের স্বপ্নের জার্সি উঠছে গায়ে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থলাভ প্রায় সুনিশ্চিত।

Share via
Copy link