ইনিংসের শুরুতে কার্যকরী বোলিং, সাথে টপ অর্ডারে ব্যাটিং তাণ্ডব- ফরচুন বরিশালের ভাগ্য বদলাতে কাইল মায়ার্স যেন এবারের বিপিএলে হয়ে উঠেছেন দুরন্ত এক পারফর্মার। চট্টগ্রাম পর্ব দিয়ে অলরাউন্ড নৈপুণ্যের যে শুরুটা হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি দেখা গেল প্লে-অফ পর্বে এসেও। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে প্রথমে বল হাতে দুই উইকেট। এরপর এ ক্যারিবিয়ান ব্যাট হাতে খেললেন ২৬ বলে ৫০ রানের ঝড়ো এক ইনিংস।
মিরপুরের মন্থর উইকেটে ঠিক রান আসে না। সেই ধারণাকেই শুরুতে বল হাতে প্রমাণ করেছিলেন মায়ার্স। উইকেটে প্রায় থিতু হয়ে ওঠা টম ব্রুসকে ফিরিয়ে শুরু। এরপর স্লোয়ার আর ইয়র্কারের অপূর্ব সমন্বয়ে শুভাগত হোমের স্ট্যাম্প ছত্রখান করে দুর্দান্ত বোলিং ফিগারের সমাপ্তি। তবে ক্যারিবীয় এ অলরাউন্ডারের বোলিংটাই তো বোনাস। তাঁর আসল রূপ তো লুকিয়ে ব্যাটিংয়ে।
বোলার হিসেবে না হয় মিরপুরের উইকেটের ধরনটাকে সত্য প্রমাণ করেছিলেন। কিন্তু ব্যাট হাতে যখন নামলেন, তখন মিরপুরের রহস্যময় উইকেটটাই যেন মিথ মনে হতে লাগল গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের। কারণটা, ব্যাটার কাইল মায়ার্সের ব্যাটিং তাণ্ডব। চট্টগ্রামের পুরো ইনিংস মিলে যেখানে ৫ ছক্কার স্বাক্ষী হয়েছে দর্শক, সেখানে এ ক্যারিবিয়ান পাওয়ার হিটার একাই মারলেন ৫ টা ছক্কা।
ব্যাট হাতে শুরুটা করেছিলেন শুভাগত হোমকে সমীহ করেই। তবে এর পর যখন হাত খোলা শুরু করেছেন, তখন চট্টগ্রাম অধিনায়ক নিজেই বনে গিয়েছেন দর্শক ভূমিকায়। কারণ তাঁর বলেই যে ৪ বার সীমানার ওপারে পাঠিয়েছেন মায়ার্স। এর মধ্যে তাঁর এক ওভারেই এ ক্যারিবিয়ান খেলেন ৩ টা ছক্কা ও ২ টা চার।
মায়ার্সের এমন তাণ্ডবে চট্টগ্রাম লড়াইয়ে আর ফিরতে পারেনি। তাদের দেওয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্যে পাওয়ার প্লে-র প্রথম ৬ ওভারেই বরিশাল তোলে ৭৩ রান। এরপর মায়ার্স যদিও নিজের ব্যক্তিগত অর্ধ-শতক ছুঁয়েছেন। ৫০ পূর্ণ করেন ২৫ তম বলে। তবে ফিফটি পূরণের পরের বলেই এ ব্যাটার বিলাল খানের শিকার হয়ে ফিরে যান। তবে ততক্ষণে ফরচুন বরিশাল সহজ জয়ের দুয়ারে পৌঁছে গেছে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটের জয়ে নিশ্চিত হয় ফাইনালে ওঠার লড়াই- দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।