ম্যাথুসের টাইমড আউটে সাকিবের পক্ষে এমসিসি

টাইমড আউট নিয়ে ব্যখ্যা দিয়েছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। তাদের মতে, ভুলটা ছিল ম্যাথুসেরই।

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ‘টাইমড আউট’ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বিতর্কের রেশ অবশ্য এখনও কমেনি। পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনার স্রোত বইছে এখনও। কেউ কেউ ক্রিকেটীয় চেতনাকে সামনে টেনে এনে সাকিবকে কাঠগড়ায় তুলছেন। আবার কেউ কেউ আউটটি আইনসিদ্ধ হওয়ায় সাকিবের পক্ষও নিয়েছেন। তবে এবার এই টাইমড আউট নিয়ে ব্যখ্যা দিয়েছে স্বয়ং ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।

মূলত টাইমড আউট নিয়ে এমসিসির ৪০.১.১ ধারায় উল্লেখে আছে যে, ‘কোনো উইকেট পতন কিংবা রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর মাঠে পরবর্তী ব্যাটারকে পরের বলটা খেলার জন্য ৩ মিনিটের মধ্যে প্রস্তুতি সারতে হবে। এই শর্ত পূরণ না হলে মাঠে আসা উক্ত ব্যাটার আউট বলে গণ্য হবেন, টাইমড আউট।’

তবে বিশ্বকাপের ম্যাচটি আইসিসির আন্তর্জাতিক ওয়ানডে প্লেয়িং কন্ডিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখান টাইমড আউট হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাটারকে ৩ মিনিট নয়, ২ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে এমসিসির আইনের ওপর আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন প্রাধান্য পায়। তাছাড়া এই আইনের বাকি বিষয়গুলো একই।

এমসিসি আইসিসির এই আইনকেই সামনে এনেই তাদের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, বেঁধে দেওয়া ২ মিনিট সময়ের মধ্যে ম্যাথুস বল খেলতে প্রস্তুত ছিলেন না। তাই তাঁকে আউট হতে হয়েছে। তবে কীভাবে ম্যাথুস এই আউট হওয়া থেকে নিজেকে এড়াতে পারতেন সেটিও ব্যাখ্যায় জানিয়েছে এমসিসি।

ক্রিকেট আইন প্রণয়নকারী এ সংস্থার মতে,  নির্ধারিত ২ মিনিটের মধ্যে আম্পায়ারদের যদি জানানো হতো যে হেলমেটের ত্রুটিজনিত কারণে দেরি হচ্ছে, তখন আম্পায়াররা পুনর্বিবেচনা করতে পারতেন। সিংহভাগ ক্ষেত্রে এখানে আম্পায়াররা বিরতিই দিয়ে থাকেন। তবে ম্যাথুস আগে থেকে এটা জানাননি।

এমসিসি তাদের ব্যাখ্যায় ম্যাথুসের ঘটনার সারসংক্ষেপও যুক্ত করেছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘মাঠের ৩০ গজের মধ্যে ঢুকতেই ৯০ সেকেন্ডের বেশি সময় নিয়েছিলেন ম্যাথুস। এরপর যখন বুঝতে পেরেছেন দেরি করে ফেলেছেন, তখন খানিকটা দৌড়ে উইকেটে এসেছেন। আগের উইকেট পতনের পর ঠিক ১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের মাথায় ম্যাথুস হেলমেটের সমস্যাটা বুঝতে পারেন। সে সময় তিনি উইকেটে গার্ডও নেননি এবং বল খেলার মতো অবস্থায় ছিলেন না।’

আরও বলা আছে, ‘হেলমেটের সমস্যা ধরতে পারার পর ম্যাথুস আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে সরঞ্জাম পাল্টাতে চাইলে একজন খেলোয়াড়ের উচিৎ তা আম্পায়ারকে অবগত করা। সেটা না করে তিনি ড্রেসিংরুমে ইঙ্গিত করেন হেলমেট পাল্টানোর। তিনি যদি আম্পায়ারকে সমস্যাটা বলতেন এবং একটু সময় চাইতেন, তাহলে তাঁকে হেলমেট পাল্টানোর অনুমতি দিতেন আম্পায়াররা। তখন টাইমড আউট হওয়ার সম্ভাবনাই থাকতো না। কিন্তু ম্যাথুস সেই আবেদনটা করেননি। আইন অনুযায়ী তাই এটি আউট।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...