বেটিং সাইটের প্রমোশন করে বিপদে ম্যাককালাম

গত জানুয়ারিতে ‘২২ বেট’ নামক একটি অনলাইন বেটিং সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ শুরু করেন ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ ও নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ‘২২ বেটের’ একটি বিজ্ঞাপনে অংশ নেবার পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত।

সমালোচনার মুখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেই সেই বিজ্ঞাপনের ভিডিও সরিয়ে নেয়া হয়৷ এবার ম্যাককালামের এই বেটিং সাইটের সাথে যুক্ত হওয়া ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) গভর্নিং বডির দুর্নীতিবিরোধী নিয়মের লঙ্ঘন করেছে কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু হতে যাচ্ছে।

বেটিং শব্দটি আধুনিক ক্রিকেটের সাথে যেন ওতপ্রত ভাবে জড়িত। বিভিন্ন দলের কোচ ও খেলোয়াড়রা নিয়মিতই যুক্ত হচ্ছেন বেটিং সাইট গুলোর প্রমোশনে। এসব অনলাইন বেটিং সাইটের দৌরাত্ব থামানোটাই যেন এখন আইসিসির কাছে বেশ কঠিন হয়ে উঠেছে।

নিজেদের লাল বলের কোচ ম্যাককালামের বেটিং সাইটে যুক্ত হওয়া নিয়ে তাই চিন্তিত ইসিবিও। ইসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। ‘২২বেট’ এর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ম্যাককালামের সঙ্গে আলোচনা করেছি। জুয়া নিয়ে আমাদের কিছু নিয়ম আছে এবং সবসময় আমরা সেগুলো নিশ্চিত করার চেষ্টা করি।’

যদিও ইসিবি নিশ্চিত করেছে, এখনও কোনো তদন্তের আওতায় নেই ম্যাককালাম। নিউজিল্যান্ডের ‘প্রবলেম গ্যাম্বলিং ফাউন্ডেশন’ গত সপ্তাহে বিজ্ঞাপনের বিষয়টি নিয়ে ইসিবির কাছে অভিযোগ করেছিল।

ইসিবির আইনের ধারা অনুযায়ী অবশ্য বেটিংয়ের প্রমোশন করাটাও শাস্থিযোগ্য অপরাধ। বেটিংয়ের সাথে যেকোনো ভাবে যুক্ত থাকাটাকেই বড় ধরণের অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ইসিবি।

ইসিবির বৈষম্য বিরোধী ধারা অনুযায়ী, ‘বেটিংয়ের জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনুরোধ করা, প্ররোচিত করা, প্রলুব্ধ করা, নির্দেশ দেওয়া, প্ররোচিত করা, উৎসাহিত করা, সুবিধা দেওয়া বা অনুমোদন করা, অন্য কোনো পক্ষকে বাজিতে প্রবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া বা প্রতিযোগিতা একটি অপরাধ।’

ধারা অনুযায়ী, এমন অপরাধের জন্য ন্যূনতম ১ বছর সমস্ত ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের বাইরে থাকার মতো শাস্তি হতে পারে ম্যাককালামের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link