নিষিদ্ধ মেহেদী হাসান রানা

জাতীয় দলে আসা বা সেখান থেকে ছিটকে যাওয়ার পেছনে খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ থাকে। আর সেটা পারফরমেন্স। নজর আপনাকে কাড়তেই হবে। হতে হবে আর বাকি দশজনের চাইতে অনেকটাই আলাদা। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিজের সবটুকু প্রমাণ করতে হচ্ছে ব্যর্থ, ততক্ষণ পর্যন্ত জাতীয় দলের দ্বার আপনার জন্যে খুলে যাবে এমনটা ভাবাও তো ভুল।

যদিও পেসার মেহেদী হাসান রানা একেবারেই সাদামাটা নন। তবুও হয়ত কোন কারণে জাতীয় দলের তিনি জায়গাটা ঠিক করে নিতে পারেননি। আর সে পথটা বোধহয় আরও খানিকটা সংকীর্ণ হল।

বাংলাদেশে আনাচে-কানাচে থাকা প্রতিটা খেলোয়াড়ই চায় একদিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে। সবার মত রানারও স্বপ্ন ছিল তাই। তবে জীবনের ২৫টি বছর পার করে ফেললেও অধরা জাতীয় দলের জার্সি। তাইতো রাগে, ক্ষোভে কিংবা আক্ষেপে তিনি নিজের ফেসবুক পেইজ থেকে পোস্ট করেছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে। তাঁর ক্রিকেটীয় জীবনের খুঁটিনাটি সবকিছু সেখানে তুলে ধরেছেন। এমনকি নিজের হতাশার কথাও প্রকাশ করেছেন সেখানে।

লম্বা সেই স্ট্যাটাসের একটা পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের একজন নির্বাচককে দায়ী করেন। জাতীয় দলে তিনি খেলতে না পারার পেছনে সেই নির্বাচকের হাত রয়েছে তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রানা। রানার সেই পোস্টের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যেতে থাকে। একটা পর্যায়ে সমালোচনার মাত্রাটা বেড়ে গেলে তিনি সেই পোস্টটি ডিলিট করে দেন।

এরপর তিনি জানান, পোস্ট দেওয়ার সময় তিনি জাতীয় লিগের ম্যাচ খেলায় ছিলেন ব্যস্ত। তাঁর পেইজের পরিচালনাকারী দলের সদস্যদের কেউ একজন স্বপ্রণোদিত হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সেই নির্বাচককে দায়ী করে দীর্ঘ সেই পোস্টটি লেখেন বলে জানান রানা। তবে তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। পোস্টটি দ্রুতই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে চোখ এড়ায়নি গণমাধ্যম থেকে শুরু করে বিসিবি কর্তাদের।

সেই ঘটনার জের ধরেই এবার এক মাসের জন্য নিষিদ্ধ হলেন বা-হাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা। এক মাসের জন্যে সকল ধরণের ক্রিকেট থেকে তাঁকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির পক্ষ থেকে। জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিন তাঁকে খেলানো হয়নি। রানার এই নিষেধাজ্ঞার ইস্যু এখন কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার পালা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link