নতুন শুরুর যাত্রায় ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত নেমেছেন চার ম্যাচে। আর তাতেই নিজের নামটা শীর্ষ আসনে নিয়ে গেলেন লিওনেল মেসি।
চার ম্যাচে ৭ গোল করেছেন। যা চলতি মৌসুমে ইন্টার মায়ামির হয়ে সবথেকে বেশি গোল করার রেকর্ড। শুধু তাই নয়, লিগস কাপের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোল এসেছে এই মেসির পা থেকেই।
শুরুটা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ঘাসগালিচায় নিজের রাজসিক অভিষেকের মধ্য দিয়েই। ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে সে ম্যাচে নেমেছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে। তবে মেসির আগমনের পরও সে ম্যাচের ভাগ্য গড়াচ্ছিল নিশ্চিত ড্রয়ের পথে।
কিন্তু শেষ মুহূর্তে মেসির ফ্রি-কিক থেকে জয় নিশ্চিত করে ইন্টার মায়ামি। মায়ামির হয়ে অভিষেকের পর টানা তিনটি ম্যাচে মেসি করেছেন দুটি করে গোল।
অ্যাটলান্টা ইউনাইটেড ও অরল্যান্ডো সিটির বিরুদ্ধে ব্রেসের পর গত রবিবার নিজের চতুর্থ ম্যাচে তিনি খেলতে নেমেছিলেন ডালাসের বিরুদ্ধে। সে ম্যাচেও এলএমটেন তুলে নিয়েছিলেন ২ টি গোল।
ম্যাচ ৪-৪ গোলে ড্র হলেও পেনাল্টি শ্যুটআউটে গেলে ৫-৩ গোলে জিতে যায় ইন্টার মায়ামি। তবে মায়ামির এমন ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পটা লেখা হয়েছিল মেসির জন্যই।
ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত মায়ামি ২ গোলে পিছিয়ে ছিল। এরপর মেসির ফ্রি-কিক থেকে বিপক্ষে দলের ডিফেন্ডারের মাথা ছুঁয়ে বল চলে যায় প্রতিপক্ষের জালে। তবে তখন পর্যন্ত ১ গোলে পিছিয়ে ছিল মায়ামি।
কিন্তু, ত্রাতা হিসেবে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন সেই মেসিই। ৮৫ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে গোল করেন মেসি। ম্যাচের দৃশ্যপট ঘুরে যায় তখনই।
মেসি যখন ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিলেন, তখন দলটা রীতিমত মেজর লিগ সকারের তলানিতে। টানা ১৪ ম্যাচ ছিল জয়শূন্য। সেখান থেকে দলটা উৎরে উঠলো মেসির কল্যাণেই।
একটা সময় পর্যন্ত জয়ের মুখ না দেখা দলটা মেসির ছোঁয়াতেই যেন পাল্টে গেল। টানা ৪ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে লিগস কাপে প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছে শেষ আটে।
মেসি বোধহয় এমনই। বার্সার হয়ে সবটা জিতেছেন। সেই ছন্দটা টানতে পারছিলেন না জাতীয় দলে। তবে চ্যালেঞ্জটা যে তিনি নিতে সর্বদা পটু। শেষ দুই বছরে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা আর বহুল আকাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ।
এবার সেই সাফল্য, রাজত্বের ধারাপ্রবাহটা তিনি বইয়ে দিচ্ছেন আমেরিকাতেও। সব জেতা মেসির এমন দুর্দমনীয় লড়াকু মানসিকতায় তো তাঁকে অনন্য করে তুলেছে। যার শেষ্ঠত্বের স্পর্শ এবার পাচ্ছে আমেরিকার ‘সকার’ও।