রিয়াদের বাতি জ্বলে টিমটিম

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলে থাকবেন কিনা। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের দ্বিতীয় আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে তা।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলে থাকবেন কিনা। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের দ্বিতীয় আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে তা। প্রধান আকর্ষণ অবশ্য, কে হবেন অধিনায়ক! প্রথম প্রশ্নের উত্তরটা এখনও বেশ ঘোলাটে। তালিকা সংক্ষিপ্ত হয়েছে বটে। চূড়ান্ত হয়ত হয়ে যাবে দু-একদিনের মধ্যেই।

তবে সে আলাপ বাদ থাক আপাতত। দ্বিতীয় প্রশ্ন বা আকর্ষণে ফেরা যাক। রিয়াদের এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের দলে থাকার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ হয়ে যায়নি এখন অবধি। টিমটিম করে জ্বলতে থাকা কুপিবাতির মত করে জ্বলছে সে সম্ভাবনা। বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের চিত্র অবশ্য জ্বালানির জোগান দিয়েই যাচ্ছে।

এই যে যেমন রিয়াদের প্রতি রঙ্গনা হেরাথের বাড়তি মনোযোগ। বাংলাদেশ দলের স্কিল ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু হয়েছে। আর শীষ্যদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি সিরিয়াস সম্ভবত হেরাথ। দিন দুয়েক ধরে স্পিনারদের স্পেশাল ক্লাস নিচ্ছে। সেই ক্লাসে আবার নিয়মিত ছাত্র রিয়াদও। তার স্পিন বলের সক্ষমতায় নিজে থেকে ঘষামাজা করতে সহয়তা করছেন রঙ্গনা হেরাথ।

তাছাড়া এশিয়া কাপকে লক্ষ্য রেখে শুরু হওয়া ক্যাম্পটা সংক্ষিপ্ত হয়েছে। ইয়াসির আলী রাব্বির মত খেলোয়াড়রা সেখানে জায়গা পাননি। রিয়াদের জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রাব্বিও ছিলেন। প্রাথমিক দলে রিয়াদের অন্তর্ভুক্তিও তাই ইতিবাচক বার্তাই দিচ্ছে।

যদিও প্রবল দাবি প্রধান কোচ হাতুরু নাকি রিয়াদকে দলে চাননা। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও তেমন রুঢ় আকার ধারণ করেনি। দলের সাথে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন রিয়াদ। নিজের ঝুলিতে থাকা সবরকম অস্ত্রই ঝালিয়ে দেখছেন রিয়াদ। সাথে কোচিং প্যানেলও রাখছি বাড়তি নজর। করছে কড়া তদারকি।

আফগানিস্তান সিরিজের পর সবাই যখন ছুটি কাটাতে ব্যস্ত। তখন থেকেই রিয়াদ শুরু করেছিলেন তার ফেরার লড়াই। এরপর তো ফিটনেসের পরীক্ষা হল। লেটার মার্ক না পেলেও ঠিকঠাক নম্বর তুলেছিলেন তাতে। তরুণদের থেকেও বেশ এগিয়ে ছিলেন তিনি। সুতরাং রিয়াদের ফিটনেস নিয়ে সমালোচনা আদোতে ধোপে টেকে না।

অন্যদিকে রিয়াদের অভিজ্ঞতাও তার পক্ষেই কথা বলে। তবুও রিয়াদকে দলে না রাখার পেছনে যুক্তি দাঁড় করানো যায়। তার সাম্প্রতিক ফর্ম খুব একটা ভাল নয়। শেষ তিন সিরিজেও তিনি ছিলেন না দলের সাথে। এমন এক পরিস্থিতিতে তাকে দলে নেওয়াটা নেতিবাচক প্রভাবও ফেলতে পারে।

তাছাড়া রিয়াদ দলে সু্যোগ পেলেও একাদশে তার সুযোগটা হতে পারে প্রশ্নবিদ্ধ। জটিলতার আসলে নেই কোন শেষ। কিন্তু, রিয়াদ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোচিং প্যানেলের গুডবুকে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ কোনভাবেই হাতছাড়া করতে নারাজ তিনি। অনুশীলনে বেশ কর্মতৎপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

শেষ অবধি রিয়াদের ভাগ্য জুটবে কি, তা জানতে অপেক্ষা করতেই হচ্ছে ১২ তারিখ অবধি। কেননা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১২ আগস্ট এশিয়া কাপের জন্যে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সময় গড়ালেই জানা যাবে রিয়াদের ভবিষ্যৎ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...