রান তাড়ায় মুম্বাই বরাবরই সেরা

লিয়াম লিভিংস্টোন বলতে গেলে একাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। পাঞ্জাব কিংসকে ২১৪ রানের রান পাহাড়ে চাপিয়ে অনেকটা নির্ভার হয়ে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিলেন এ ইংলিশ ব্যাটার। কিন্তু লিভিংস্টোনের ঝড়ো ব্যাটিংও এ দিন ম্লান হয়েছে মুম্বাইয়ের দুই ব্যাটার ইষাণ কিষান আর সুরিয়াকুমার যাদবের ব্যাটিংয়ে। এ দুই ব্যাটারের সৌজন্যেই পাঞ্জাব কিংসকে এ দিন ৬ উইকেটে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।  

লিয়াম লিভিংস্টোন বলতে গেলে একাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। পাঞ্জাব কিংসকে ২১৪ রানের রান পাহাড়ে চাপিয়ে অনেকটা নির্ভার হয়ে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিলেন এ ইংলিশ ব্যাটার। কিন্তু লিভিংস্টোনের ঝড়ো ব্যাটিংও এ দিন ম্লান হয়েছে মুম্বাইয়ের দুই ব্যাটার ইষাণ কিষান আর সুরিয়াকুমার যাদবের ব্যাটিংয়ে। এ দুই ব্যাটারের সৌজন্যেই পাঞ্জাব কিংসকে এ দিন ৬ উইকেটে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

টসে হেরে এ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই প্রাভসিমরান সিংয়ের উইকেট হারায় পাঞ্জাব। যদিও শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে নেন অপর ওপেনার শিখর ধাওয়ান আর ম্যাথিউ শর্ট। এ দুই ব্যাটারের জুটি থেকে আসে ৪৯ রান। সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা শিখর ধাওয়ান ব্যক্তিগত ৩০ রানেই থেমে যান।

ধাওয়ানের পথ ধরে উইকেটে থিতু হয়েও ব্যক্তিগত ২৭ রানে ফিরে যান ম্যাথিউ শর্ট। তবে পাঞ্জাব কিংসে এ দিন এগিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন আর  জিতেশ শর্মা। ৯৫ রানে ৩ উইকেট হারানো পাঞ্জাবকে ইনিংসের শেষ অবধি রান পাহাড়ে চড়ান এই দুই ব্যাটারই।

শুরু থেকেই মুম্বাইয়ের বোলারদের উপর চড়াও হন লিভিংস্টোন। ইংলিশ  এ ব্যাটারকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে জিতেশ শর্মাও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। তবে এক লিভিংস্টোনের ব্যাটিং ঝড়েই কাবু হয়ে পড়ে মুম্বাইয়ের বোলাররা। ৩২ বলে এ ইংলিশ ব্যাটার পৌঁছে যান ব্যক্তিগত অর্ধ-শতকে। তবে ফিফটি পূরণের পরেই লিভিংস্টোন হয়ে ওঠেন আরো ভয়ংকর। পরের ১০ বলে তুলে নেন ৩২ রান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে।

লিভিংস্টোনের পাশাপাশি চার ছক্কার মিশেলে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন জিতেশ শর্মাও। ফিফটি পাননি। তবে ৫ চার আর ২ ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মূলত, লিভিংস্টোন-জিতেশের জুটিতেই ২০০ পেরোনো সংগ্রহের দেখা পায় পাঞ্জাব। এ দুই ব্যাটারের নিরবচ্ছিন্ন ১১৯ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ২১৪ রান জমা করতে সক্ষম হয় তাঁরা।

২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মার উইকেট হারায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তবে ক্যামেরুন গ্রিনের সাথে ৫৪ রানের জুটি গড়ে মুম্বাইকে ম্যাচে ফেরান ইষাণ কিষান। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ক্যামেরুন গ্রিন ফিরে গেলে উইকেটে আসেন সুরিয়াকুমার যাদব। আর এরপরেই বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট।

ডানহাতি, বাম হাতি কম্বিনেশনে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরে আসে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। সুরিয়া কুমার যাদবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাঞ্জাবের রানপাহাড়ও তখন সহজ হয়ে পড়ে। একই সাথে ইষাণ কিষানও সমানতালে রানের গতি ঠিক রেখে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন। এ দুই ব্যাটার থেকে আসে ১১৬ রান। যার মধ্যে দুজনই পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটির দেখা। সুরিয়াকুমার যাদব ৩১ বলে খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। আর ইষাণ কিষানের ব্যাট থেকে আসে ৪১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস।

মূলত এ দুই ব্যাটারের ব্যাটে চড়েই লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যায় মুম্বাই। শেষদিকে, দুজনই আউট হয়ে ফিরে গেলেও মুম্বাইয়ের লক্ষ্য টপকাতে বেগ পেতে হয়নি তেমন। টিম ডেভিড আর তিলক ভার্মার বিচক্ষণ ব্যাটিংয়ে ৭ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...