খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, পাকিস্তান টি-টোয়েন্টির সেরা দলগুলোর একটি ছিল। কিন্তু এখন মাঝারি সারিতে নেমে গিয়েছে তাঁরা – কেন এমন অধপতন সেই উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে সময়ের সাথে ব্যাটিংয়ে শক্তি হারিয়েছে দলটি, বিশেষ করে মিডল অর্ডার নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। অবশ্য আরো স্পষ্ট করে বললে, তাঁদের একাদশে এখন মিডল অর্ডার ব্যাটার থাকেই না।
অবাক করার মত হলেও ব্যাপারটি সত্য। ক্রিকেটীয় ব্যাকরণে মিডল অর্ডার ব্যাটার বলতে যা বোঝায় তা নেই বাবর আজমদের একাদশে। দলটির চার, পাঁচ কিংবা ছয় নাম্বারে যারা ব্যাট করেন তাঁরা কেউই আদৌ মিডল অর্ডারের ব্যাটার নন।
এই যেমন ফখর জামান, ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ওপেনার পরিচয়ে বেড়ে উঠেছিলেন। কিন্তু টিম কম্বিনেশনের স্বার্থে চিরচেনা পজিশন ছেড়ে চারে খেলতে হচ্ছে তাঁকে। পারফরম যেমনই হোক তাঁর, একজন ওপেনারকে নিচের দিকে খেলানোর কারণে কিছুটা হলেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
ফখর অবশ্য রান পাচ্ছেন, বাকি দু’জনের ফর্ম বিভীষিকাময় বটে – একজন ইফতেখার আহমেদ যিনি সবশেষ কবে বড় রান করেছেন নিজেই বোধহয় ভুলে গিয়েছেন, আরেকজন আজম খান, তিনি তো অভিষেকের পর থেকেই ছন্দ হারিয়ে বসে আছেন। যদিও তাঁদের এককভাবে দোষ দিয়ে আর কি হবে; দু’জনেই মূলত স্লগার, অথচ সামলাতে হচ্ছে পাঁচ ও ছয় নাম্বারের মত গুরুত্বপূর্ণ পজিশন।
এমন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে শাদাব খানকে সুযোগ দেয়া হয়েছে মিডল অর্ডারে। কিন্তু তিনি নিজেই বোলিং অলরাউন্ডার, লোয়ার অর্ডারেই ব্যাট করেন সাধারণত। তাই মাঝে মাঝে রান পেলেও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হওয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে।
একটা সময় মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিকের মত টেকনিক্যাল ব্যাটাররা যেভাবে দলের হাল ধরেছিলেন সেরকম কেউই নেই বর্তমান পাকিস্তান দলে। এই শূন্যতা দ্রুত কাটিয়ে উঠতেই হবে তাঁদের, তা নাহলে বড় আসরে ব্যর্থতা অপেক্ষা করছে।