বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের সালমা খাতুন। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলা দলের জন্য একটি অর্জন বটে।
সালমা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের প্রায় প্রথম দিকের অভিযাত্রী। যাদের হাত ধরে মেয়েদের ক্রিকেট কিছুটা শক্ত ভিত গড়তে পেরেছে এবং দৃঢ় পায়ে এগিয়ে গেছে, তাদের একজন তিনি। দুই সংস্করণেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দীর্ঘদিন। একসময় বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটের একমাত্র বিজ্ঞাপনই ছিলেন তিনি। এখন দলে পারফরমার বেড়েছে। তবে এবার বিশ্বকাপে সালমাই ছিলেন দলের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম প্রতিনিধি।
তার স্কিল, বৈচিত্র ও বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং এবার বিশ্বকাপে নজর কেড়েছে সবার। ৭ ম্যাচে তার শিকার ১০ উইকেট। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৩.৭৯। বিশ্বকাপে এবার ২০ ওভারের বেশি বোলিং করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং করেছেন তিনিই। অন্তত ৫ উইকেট শিকারিদের মধ্যেও ওভারপ্রতি রান সবচেয়ে কম দিয়েছেন তিনি।
মূলত বোলিং পারফরম্যান্স দিয়েই আইসিসি সেরা একাদশে ঠাঁই হয়েছে তার। তবে বিশ্বকাপে ব্যাট হাতেও টুকটাক অবদান ছিল তার। একসময় তিনি ছিলেন স্পেশলিস্ট বোলার। তবে ব্যাটের ধার হারিয়ে এখন নেমে গেছেন লোয়ার অর্ডারে। তবে এবারের আসরে পুরনো সময়ের ঝলক কিছুটা দেখাতে পেরেছেন।
সালমা ও বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা। বাংলাদেশ এখন আইসিসি উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, নিয়মিতই তাই সুযোগ আসবে ম্যাচ খেলার। আশা করি, অনেক অর্জনও ধরা দেবে।
- বিশ্বকাপের সেরা একাদশ
লরা উলভার্ট (দক্ষিণ আফ্রিকা), অ্যালিসা হিলি (অস্ট্রেলিয়া). মেগ ল্যানিং (অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া), র্যাচেল হায়েন্স (অস্ট্রেলিয়া), ন্যাট সিভার (ইংল্যান্ড), বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া), হেইলি ম্যাথিউজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মারিজান ক্যাপ (দক্ষিণ আফ্রিকা), সোফি এক্লেস্টোন (ইংল্যান্ড), শাবনিম ইসমাইল (দক্ষিণ আফ্রিকা), সালমা খাতুন (বাংলাদেশ)।
দ্বাদশ: চার্লি ডিন (ইংল্যান্ড)
– ফেসবুক থেকে