তাঁকে পার্টটাইম স্পিনার বলেছিলেন সিকান্দার বখত। ধারাভাষ্যে বসে আতাহার আলী খান বলেন, ‘বলো কি! মিরাজ তো প্রোপার অলরাউন্ডার!’ সিকান্দার বখতের পাল্টা জবাব, ‘প্রথম টেস্টে তুমিই সম্ভবত বলেছিলে!’
না, মেহেদী হাসান মিরাজকে আসলে এখন আর অন্তত পাকিস্তানে কেউ পার্টটাইমার বলে ভুল করবে না। রাওয়ালপিন্ডিতে বসে তিনি প্রথমবারের মত পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করলেন। টেস্ট ক্রিকেটে এটা তাঁর দশম বারের মত ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজীর।
৪৫ টি টেস্ট ম্যাচে মিরাজের উইকেট এখন ১৭৪ টা। তাঁকে আর যাই হোক পার্ট টাইম স্পিনার বলার কোনো সুযোগ নেই। আর রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় দিনের রিঙ মাস্টার ছিলেন এই মিরাজ।দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাকিস্তান যখন শতরান তুলে ফেলে আকাশে উড়ছিল তখনই জোড়া আঘাত হানেন মিরাজ।
তিনি বিপজ্জনক হয়ে ওঠা সায়িম আউয়ুব ও অধিনায়ক শান মাসুদকে ফিরিয়ে দেন সাজঘরে। দু’জনই তখন হাফ-সেঞ্চুরি করে উইকেটে থিতু হয়েছিলেন। এই দু’জন টিকে গেলে বাংলাদেশের বিপদ কার্যত আকাশ চুম্বি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
টপ অর্ডারে আঘাত হানার পর আবার ইনিংসের লেজও ছেঁটে ফেলেন মিরাজ। শেষ অবধি পাকিস্তান ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। এখানে বড় কৃতিত্ব বাংলাদেশের এই অফ স্পিনারেরই প্রাপ্য।
মিরাজকে নি:সন্দেহে বাংলাদেশের সেরা স্পিনার বলার উপায় নেই। তবে, তাঁর উইকেট টেকিংয়ের দক্ষতা আছে। সাথে কার্যকর ব্যাটিং। সব মিলিয়ে তিনি দারুণ এক প্যাকেজ। অথচ, বয়স মাত্র ২৬। এই ধারা অব্যহত থাকলে মিরাজের পক্ষে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারদের কাতারে নাম লিখিয়ে ফেলা সম্ভব।