একটা প্রতিশ্রুতি ছিল। তিনি ফিরলে তার জায়গা প্রায় পাঁকা বিশ্বকাপের দলে। এমন একটা বিষয়কে মাথায় রেখেই অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ আমির। তবে তার এই প্রত্যাবর্তন কোনভাবেই যেন কাজে আসছে না পাকিস্তানের। এ যেন আমির নন, তার ছায়া খেলছে পাকিস্তানের হয়ে।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবসর ভেঙে ফেরেন মোহাম্মদ আমির। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য জানান দিয়েছিলেন কার্যকর এক বোলার হয়েই ফিরছেন তিনি। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বল করবার সুযোগ হয়নি আমিরের। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি তুলে নেন দুইটি উইকেট। সেদিন খরচ করেছিলেন মাত্র ১৩ রান।
তাইতো সবাই আমিরের প্রত্যাবর্তনে হয়েছিল উচ্ছ্বসিত। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে আমির তার উজ্জ্বলতা হারিয়েছেন। বল হাতে মলিন হয়েছেন তিনি। রান খরচের দিক থেকে যেন তিনি রীতিমত দাতা হাতিম তাই। প্রায় ৮ এর উপর ইকোনমিতে তিনি রান বিলিয়ে গেছেন প্রতি ম্যাচে। সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও।
এবারও সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টির জলে। দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে জায়গা করে নিলেন মোহাম্মদ আমির। অবশ্য এর আগেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন তিনি। সম্ভবত সেই প্রতিশ্রুতি হয়েছে বাস্তবায়িত। কিন্তু যে প্রত্যাশা থেকে আমিরকে ফেরার অনুরোধ করা হয়েছিল তা বাস্তব হয়নি যেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে উইকেটশূন্য থেকেছেন আমির। রান দিয়েছেন ৩৪। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের ঠিকঠাক চ্যালেঞ্জও জানাতে পারেননি। অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে বেড়িয়ে আসেনি কোন উইকেট শিকারি অস্ত্র। অন্যদিকে রান আটকে রাখার দিকেও বিশেষ একটা নজর যেন ছিল না তার। খানিকটা ছন্নছাড়া বোলিং প্রদর্শন।
অথচ দীর্ঘ সময়ের ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা হারিস রউফ ঠিকই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। বরাবরই রউফ অ্যাটাকিং বোলার। তিনি উইকেট প্রাপ্তির দিকেই রাখেন মনোযোগ। তাইতো তার ওভারগুলোতে রানের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই থাকে বেশি।
সেদিক থেকে আমির যেন দিকহীন এক জাহাজ হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না যে তার আসলে কি করা উচিত। এমন এক দ্বিধায় থাকা বোলার পাকিস্তানকে ফেলে দিতে পারে বিপাকে। আমিরের অভিজ্ঞতার চাইতেও তার কার্যকারিতা স্পষ্ট না থাকা ভোগাতে পারে পাকিস্তানকে। বিশ্বকাপের আগে নিজের চেনা রুপে ফিরবেন কি আমির?