তার সময়ে তিনি ছিলেন ভারতীয়দের সবচেয়ে পছন্দের ক্রিকেটার। মানুষের এতো বেশি ভালোবাসা পেয়েছিলেন যে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে উঠেছিলেন ভারতের প্রতিটি পরিবারের ‘ঘরের ছেলে’ ভালোবাসার ‘আজ্জু’।
এ অপার বিস্ময়কর ভালোবাসার প্রতিদানও তিনি দিয়েছিলেন, বাইশ গজের সবুজ গালিচায় হাতের ব্যাটটাকে বানিয়ে ফেলেছিলেন নেহাৎ জাদুদন্ড। তার কবজির মোচড়ে খেলা একেকটা শট, আলতো ফ্লিক করে চোখের পলকে বলকে সীমানা ছাড়া করার দৃশ্য মুগ্ধ করতো ক্রিকেট অনুরাগী মানুষকে।
মানবীয় গুণেও তিনি ছিলেন সেরাদের সেরা। ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা, বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় অভ্যস্ততা থাকলেও তার সারল্যচিত্ত ছিল বিস্ময় ও মনোমুগ্ধকর। শান্তশিষ্টতা, ধর্মভীরুতা, ভদ্রতা, নম্রতা, মিষ্টভাষিতা- এই সকল গুণাবলীতে ভর করে একজন ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে যে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় তার আকাশচুম্বী উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন তিনি। আকাশচুম্বী এ জনপ্রিয়তার পরও তার ক্রিকেট জীবনের শেষটা হয়ে আছে এক বেদনা-বিধুর অধ্যায় হয়ে। বলছিলাম ভারতের সাবেক ও অন্যতম সফল টেস্ট অধিনায়ক এবং রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনের কথা।
ক্রিকেট – কখনো আনন্দের, কখনো বেদনার আবার কখনো কলঙ্কের। ক্রিকেটার কখনো দেশরত্ন, ভালোবাসার রথী-মহারথী তারকা; আবার কখনো বিশ্বাসঘাতক, খলনায়ক। ক্রিকেট কখনো কখনো অঙ্কন করে জীবনের চিত্র। এইখানে ক্রিকেট যেন জীবনের সাথে মিলেমিশে হয়ে যায় একাকার। তাইতো জীবনানন্দ দাশ তার বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থের দু’জন কবিতায় বলেছিলেন, ‘প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়।’
ভারতীয় ক্রিকেটে আজ্জু-প্রেম মুছে গেছে সময়ের ব্যবধানে, দিন বদলের হাওয়ায় নায়ক থেকে খলনায়ক হওয়ার মাধ্যমে ভারতীয় সমর্থকদের হৃদয়ের আকাশ থেকে পতন হয়েছে আজহারউদ্দীন নক্ষত্রের।
ভারতীয় ক্রিকেটে আজহারউদ্দীনের আবির্ভাব ধুমকেতুর মতো করে। টানা তিন শতক দিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন ক্যারিয়ারের। সাদা পোশাকের অভিজাত সংস্করণে অভিষেকটা ক্রিকেটের জন্মদাতা ইংরেজদের বিপক্ষে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে। এরপর অকল্যান্ড, লর্ডস, অ্যাডিলেড, কেপটাউন, কলম্বো, ওয়েলিংটন- কোথায় ব্যাট হাতে ছড়ি ঘোরাননি তিনি!
১৯৯০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ফলোঅনে পড়তে যাওয়া ভারতের হয়ে পাঁচ নম্বরে নেমে তার মাত্র ৮৮ বলে ১২১ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি দেখে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিক মার্কস, অবজার্ভারে তাঁর কলমে লিখেছিলেন, ‘আমার দেখা সবচেয়ে চমকপদ টেস্ট সেঞ্চুরি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৭৪ বল খেলে সেঞ্চুরি করে ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে কপিল দেবের দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি রেকর্ডটিও তিনি নিজের করে নেন। ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা তার ক্যারিয়ারের ৯৯তম এবং সবশেষ টেস্টেও তিনি সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ও শেষ টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করা এখনও অবধি তিনিই ভারতের একমাত্র এবং বিশ্বের পঞ্চম ব্যাটসম্যান।
টেস্টে ৪৫ আর ওয়ানডেতে ৩৭ গড়ই বলে দেয় ব্যাট হাতে কতটা ধারাবাহিক ছিলেন আজহার। ব্যাট হাতে শুধু সৌন্দর্যের পসরা মেলে ধরাই না, অনেক ম্যাচে ভারতের রক্ষাকর্তা হয়েও আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। বাইশ গজের উইকেটে কবজির মোচড়ে বলকে চোখের পলকে সীমানা ছাড়া করার মতো করে ক্যারিয়ারজুড়ে বিতর্ককে তাড়াতে পারলে আজহারউদ্দীনই হতে পারতেন ভারতের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাটসম্যান।
শুধু ব্যাটসম্যানই না, অধিনায়ক হিসেবেও আজহার ছিলেন অসাধারণ, ক্ষুরধার মস্তিষ্কের অধিকারী এক সেনানায়ক। তার সময়ে তার মতো করে ক্রিকেটাকে এতটা নিপুণভাবে বুঝতে পারার সক্ষমতা ছিলনা আর কারোরই।
তার সময়ে অনেক ক্রিকেটারই যেখানে ফিল্ডিং নিয়ে আলাদা করে মনোযোগ দিতে চাইতেন না সেখানে আজহার ছিলেন ব্যতিক্রম একজন। কভার, পয়েন্ট, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে অবিশ্বাস্য গতিতে বল ধরে সুনিপুণ দক্ষতায় উইকেট বরাবর ছোড়া কিংবা স্লিপে অবিশ্বাস্য ক্যাচ তালুবন্দী করার দৃশ্যগুলো আজো আজহারউদ্দীনকে পরিচয় করিয়ে দেয় ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ড ফিল্ডার হিসেবে।
জীবন যেমন বিচিত্র, রঙ বদলায় ক্ষণে ক্ষণে। তেমনি একটা সময় এসে বদলেছেন আজহারও। লাজুক, বিনয়ী এই আজহারউদ্দীনই সময় পরিক্রমায় জড়িয়ে পড়লেন বিতর্কে। সালটা ১৯৯৪, এক বিজ্ঞাপনী শ্যুটিংয়ে আজহারের সাথে পরিচয় হল ডাকসাইটের সুন্দরী সঙ্গীতা বিজলানীর।
বলিউডের মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর সালমান খানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর সাবেক এই ‘মিস ইন্ডিয়া’ তারকা তখন রীতিমতো আহত বাঘিনী। সঙ্গীতা ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়লেন আজহারের দিকে, ততদিনে আজহার-নওরিনের সাত বছরের সংসার, দু’পুত্র সংসারে। তার জালে ধরা দিলেন আজহার, মজলেন পরকীয়া প্রেমে, যার প্রভাব পড়তে শুরু করলো তার সংসার ও খেলোয়াড়ী জীবনে।
ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করলো পারফরম্যান্স, অধিনায়ক আজহারের এ পতনের প্রভাব পড়তে শুরু করলো ভারতীয় দলেও। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সাথে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল ভারতও। ভারতের প্রাক-বিশ্বকাপ ক্যাম্প হওয়ার কথা ছিল চেন্নাইয়ে। কিন্তু নাছোড়বান্দা অধিনায়ক আজহার, অনুশীলন ক্যাম্প হতে হবে ব্যাঙ্গালুরুতে। বিসিসিআই শেষমেশ অধিনায়কের দাবি মেনে নিলেও পরবর্তীতে জানা যায় প্রেমিকা সঙ্গীতার সঙ্গে দেখা করার সুবিধার জন্যেই বোর্ডকে এমনকি দাবি মানতে বাধ্য করেন আজহার।
৯৬ এর ঐ বিশ্বকাপেই নজীরবিহীন এক ঘটনার জন্ম দেন আজহার। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনাল ম্যাচের দুদিন আগে অনুশীলন করেনি পুরো ভারতীয় দল। পরবর্তীতে জানা যায়, প্রেমিকা সঙ্গীতাকে রিসিভ করতে তার এয়ারপোর্ট যাওয়াতে বাতিল হয়েছে পুরো দলের অনুশীলন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐ সেমিফাইনাল ম্যাচে আরো একটি বিস্ময়কর ঘটনায় বিতর্কের নায়ক হন তিনি।
মহাগুরুত্বপূর্ণ ঐ ম্যাচে যেখানে টস জয় ছিল ম্যাচ জয়ের সমান সেখানে আশ্চর্যজনকভাবে টসে জিতেও প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটার প্রথম বড় ধাক্কাটা দেন আজহার। শ্রীলঙ্কার ২৫১ রানের জবাবে প্রথম ২০ ওভারে ১ উইকেটে ৯৮ রান থেকে ১২০ রানে ভারতের অষ্টম উইকেটের পতন হলে বিক্ষুদ্ধ ভারতীয় সমর্থকরা মাঠে বোতল নিক্ষেপ ও গ্যালারিতে অগ্নিসংযোগ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হয় আয়োজকেরা।
পরবর্তীতে ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড শ্রীলঙ্কাকে বিজয়ী ঘোষণা করলে শিরোপা বিজয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় ভারতের। ম্যাচ শেষে বিনদ কাম্বলির কান্নাজড়িত অবস্থায় মাঠ ছাড়ার দৃশ্য যেন ছিল সমগ্র ভারতবাসীরই প্রতীকী চিত্র।
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেটে সমর্থকদের আক্রোশ, ক্রিকেটারদের পোস্টার পোড়ানো, বাসভবন ঢিল ছুড়ার ঘটনা নতুন কিছু ছিলনা তখনও। ৯৬’র বিশ্বকাপে ভারতের ঐ ভরাডুবির পিছনে আজহারউদ্দীনকে দায়ী করা বিক্ষুদ্ধ ভারতীয় সমর্থকদের আক্রোশ থেকে রক্ষা করতে তার বাসভবনে নিরাপত্তা জোরদার করতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।
লোকে বলে- ‘বিপদ যখন আসে নানাদিক থেকেই আসে’। ব্যতিক্রম হয়নি আজহারের ক্ষেত্রেও। মডেল সঙ্গীতার সঙ্গে বিবাহিত আজহারের পরকীয়া প্রেমের ঝড় তছনছ করে দেয় তার দাম্পত্য জীবন। ভাঙনের সুর বাজে সংসারে, ঐ বছরেই আজহার-নওরীনের নয় বছরের সংসার জীবনের অবসান হয়। এই সময়ে পরকীয়া প্রেমে এতটাই মজে ছিলেন আজহার যে বিয়ের আগেই একাধিকবার সঙ্গীতার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়িয়েছিল ভারতীয় মিডিয়ায়।
সঙ্গীতাও জেঁকে ধরেন আজহারকে। সালমান পর্বের পুনরাবৃত্তি না চাওয়া সঙ্গীতার চাপে শেষমেশ বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। ১৯৯৬ সালে সুচনা হওয়া আজহার-সঙ্গীতার সংসার এ সংসার স্থায়ী হয় আজহারের জীবনে তৃতীয় নারীর আগমন পর্যন্ত। শেষমেশ ২০১০ সালে ভারতীয় বিখ্যাত ব্যাডমিন্টন তারকা জোয়ালা গাট্টার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে মৃত্যু হয় আজহারের দ্বিতীয় দাম্পত্য জীবনেরও। যদিও জোয়ালার সঙ্গে তার সে প্রণয় আর পরিণতি পায়নি। তবে পরবর্তীতে দীর্ঘদিনের মার্কিন বান্ধবি শ্যানোন ম্যারিকে জড়িয়ে আজহারের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে জোর গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল ভারতীয় মিডিয়াতে
১৯৯৬ বিশ্বকাপকে ঘিরে আজহারের বিতর্কিত কর্মকান্ড আর দাম্পত্য কলহের পর কে জানত আরো ভয়ানক ও বিতর্কিত এক ঝড় অপেক্ষা করছে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ ক্রিকেট সুপারস্টারের জীবনে! যার জের ভারতীয়দের প্রিয় ‘আজ্জু’কে বানিয়েছে নন্দিত এক তারকা থেকে নিন্দিত খলনায়ক।
ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে ২০০০ সালে ফিক্সিং ধারণ করে এক দানবীয় দৈত্য রূপ। যে ঝড়ে লন্ডবন্ড হয়ে যায় ক্রিকেট বিশ্ব। বাদ যায়নি ভারতও। আর ভারতীয় ক্রিকেটে ফিক্সিংয়ের এ কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল যার হাত ধরে তিনি আর কেউ না- ভারতীয়রা যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছিল, ভক্তি-সম্মান, শ্রদ্ধা করেছিল, যার সমর্থনে গলা ফাটিয়েছিল সেই মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন আজ্জু।
তার সময়েরই আরেক জনপ্রিয় ও দক্ষিণ আফ্রিকার সফল অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রনিয়ে তখন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায় স্বীকার করে বলেছিলেন আজহারউদ্দীনই তাকে জুয়াড়িদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও আজহার তখন শুধুমাত্র তিনটি ম্যাচ পাতানোর কথা স্বীকার করেছিলেন এবং পরবর্তীতে আবার তার পূর্বের ঐ বক্তব্য অস্বীকারও করেছিলেন।
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো জঘন্য অপরাধে জড়ানোর দায়ে বিসিসিআই তাদের প্রিয় অধিনায়ক আজহারউদ্দীনকে তার শততম টেস্টটি খেলার আগেই আজীবনের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসনে পাঠায়। পাশাপাশি অজয় জাদেজাকে দেয়া হয় পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞাদেশ।
বিমান দূর্ঘটনায় নিহত হয়ে হ্যান্সি ক্রোনিয়ে আজীবন নিষেধাজ্ঞার গ্লানি নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে গেলেও, পরবর্তীতে ২০১২ সালে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে হাইকোর্ট আজহারের নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহার করে। মাঝখানে ক্রিকেটবিহীন জীবনে আজহারউদ্দীন জড়িয়েছেন রাজনীতিতে, কংগ্রেসের হয়ে হয়েছেন সংসদ সদস্য, ভারতের ৫০০ তম টেস্টে পেয়েছেন সংবর্ধনাও।
২০০০ সালে ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ হওয়ার পরে ২০১২ সালে এসে হাইকোর্টের আদেশে তার এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও হয়েছে। কিন্তু ততদিনে ফিক্সিংয়ের এ ঝড় যেভাবে জনপ্রিয় তারকা থেকে আজহারউদ্দীনকে একজন খলনায়ক বানিয়েছে, সমর্থকদের হৃদয়ের আকাশ থেকে যেমনিভাবে নিঃশব্দে-সংগোপনে-দীর্ঘশ্বাসে আজহারউদ্দীন নক্ষত্রের পতন হয়েছে তা কি ঠেকাতে পেরেছে কেউ?
ভারতীয়দের এক আকাশ ভালোবাসা যে এক সমুদ্র ঘৃণায় গিয়ে মিশেছে তা কি পরিবর্তন করতে পেরেছে কোন কিছু? মুক্তি পেয়েও আজহার কি ক্ষমা করতে পেরেছেন নিজেকে, কিংবা ক্ষমা পেয়েছেন তার থেকে যে/যারা বিশ্বাস রেখেছিলেন আজহারউদ্দীনে?
জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয়। বিচিত্র বিপুল জীবনের রঙে আজহারউদ্দীন মিশে গেছেন ভারতীয়দের ভালোবাসা, বিশ্বাস, বিস্ময় আর ঘৃণার মিশেলে।