শাহিন আফ্রিদি, পাকিস্তানের হবু অধিনায়ক

বাবর আজমের ব্যাটিং সামর্থ্য যেমন প্রশ্নাতীত ঠিক ততটাই যেন আলোচনায় থাকে তাঁর অধিনায়কত্ব। পাকিস্তানের ক্রিকেট পাড়ায় নিয়মিতই কাটাছেড়া হয় বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে। পাকিস্তানের অনেক সাবেক ক্রিকেটারই নতুন কাউকে দেখতে চান পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে।

পাকিস্তান কিংবদন্তি মঈন খানও নিকট ভবিষ্যতে পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান সদ্যই অধিনায়ক হিসেবে টানা দুটি পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শিরোপা জেতা ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে।

মঈন খান বলেন, ‘পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে শাহিনই সেরা পছন্দ হতে পারে। ভবিষ্যতের জন্য তরুণ খেলোয়াড়দের প্রস্তুত রাখতে শাহিন হতে পারে দারুণ। পাকিস্তান সুপার লিগে তাঁর নেতৃত্ব ছিল অসাধারণ। সে যেহেতু লাহোর কালান্দার্সকে দুইবার চ্যাম্পিয়ন করেছে, অধিনায়ক হিসেবে তাঁর যোগ্যতাকে অবহেলা করা যাবে না।’

এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে দলের সেরা তারকাদের বিশ্রাম দিয়ে তরুণ দল মাঠে নামান পাকিস্তানের নির্বাচকরা। শাদাব খানকে অধিনায়ক করে অনভিজ্ঞ এক দল ঘোষণা করা হয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হেরে নির্বাচকদের সেই সিদ্ধান্তকে ভুল করেছেন পাকিস্তানের তরুণরা। এদিকে সিরিজ হারের পর সমালোচনা হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শাদাব খানকে নিয়েও। এমনকি গুঞ্জন আছে শাদাবকে সসহ-অধিনায়কের পদ থেকেও সরিয়ে দিতে পারে পিসিবি।

এসব গুঞ্জনে অবশ্য মোটেও খুশি নন মঈন। তিনি বলেন, ‘এই এক সিরিজের ওপর ভিত্তি করে শাদাবের নেতৃত্বগুণকে বিচার করা হলে সেটি মোটেও ঠিক হয় না। এই সিরিজে সে একটা তরুণ ও অনভিজ্ঞ দল পেয়েছিল।’

এর আগে পাকিস্তানের আরেক সাবেক ক্রিকেটার ও উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করেন শাদাব ইস্যুতে। তিনি বলেন, ‘একজন লোক (শাদাব) সত্যটা বলার চেষ্টা করছে আর তারা তাঁর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনভাবে তাকে বিরক্ত করা হচ্ছে যে সে ক্রিকেটটা ছেড়ে দেয় এবং পাগল হয়ে যায়। কেন পাকিস্তানের ৯০ শতাংশ ক্রিকেটার ক্রিকেট ছাড়ার পর পাগল হয়ে যায়? তাঁরা পাগল হয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কারণে। আমি বুঝি না এসব লোকদেরকে ক্রিকেট বোর্ডে কে এনেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link