লিটন দাস শুধু ব্যাটিংয়েই মনোযোগ দিবেন। সেজন্যই টেস্ট ক্রিকেটে তাঁকে উইকেট কিপিং এর দায়িত্বটা থেকে রেহাই দেয়া হয়েছিল। তবে আদৌ কী রেহাই পাবেন লিটন দাস। কেননা আগামীকাল ঢাকা টেস্টে মাঠে নামার আগে ঠিকই কিপিং অনুশীলন করতে হয়েছে লিটনকে। খুব সম্ভবত ম্যাচেও উইকেটের পিছনে দায়িত্বট তাকেই পালন করতে হবে।
লিটন উইকেট কিপিং করলে তাঁকে আর উপরের দিকে নামানো যায় না। যেমন চট্টগ্রাম টেস্টে কিপিং না করায় তাঁকে খেলানো হয়েছিল চার নাম্বার পজিশনে। তবে সেই টেস্টে কিপার নুরুল হাসান সোহান ছিলেন ব্যর্থ। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই রানের দেখা পাননি। আবার দেশের অন্যতম সেরা এই কিপার ক্যাচও ফেলেছেন উইকেটের পিছনে।
ফলে ঢাকা টেস্টে আবার গ্লাভস হাতে ফিরতে পারেন লিটন দাস। এছাড়া তাঁর ব্যাটিং পজিশনেও আসতে পারে পরিবর্তন। এর বাইরেও দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন। আর সাকিব আল হাসান বোলিং করতে পারবেন বলে একাদশে একজন বাড়তি ব্যাটারও খেলাতে পারবে বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্টের ওপেনিং পজিশনে অবশ্য আসছেনা কোন পরিবর্তন। প্রথম টেস্টের মত এই ম্যাচেও ওপেন করবেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। তবে তিন ও চার নাম্বার পজিশনে কারা খেলবেন তা নিয়েই যত দ্বিধা।
প্রথম ম্যাচে তিনে খেলা ইয়াসির আলী রাব্বি রানের দেখা পাননি। তবে স্কোয়াডে তিনে ব্যাট করার মত আর কোন ব্যাটার না থাকায় আরেকটা সুযোগ পেতে পারেন তিনি। আর রাব্বি তিনে খেললে চারে খেলানো হতে পারে মুমিনুল হককে। ঢাকা টেস্টের আগে নেটে বেশ সময় ব্যয় করেছেন তিনি।
ওদিকে পাঁচ নাম্বার পজিশনে যথারীতি আছেন মুশফিকুর রহিম। আর ছয় নম্বরে খেলবেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই। লিটন দাসকে ফিরতে হবে আবার তাঁর পুরনো স্থানে। সাতে ব্যাট করতে নামবেন ইনফর্ম এই ব্যাটার।
ওদিকে বোলিং আক্রমণে বেশ কিছু ইনজুরি জনিত সমস্যা থাকলেও সুখবরও আছে বাংলাদেশের জন্য। ইনজুরির কারণে এই টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। আবার সাকিবের বোলিং করা নিয়েও ছিল সংশয়। ইনজুরির কারণে প্রথম টেস্ট খেলতে পারেননি তাসকিন আহমেদও।
তবে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিবের বোলিং করার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। ঢাকা টেস্টে অলরাউন্ডার সাকিবকেই পাবে বাংলাদেশ দল। এছাড়া সাকিবের সাথে থাকবেন দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
ওদিকে পেস বোলিং আক্রমণে আবার ফিরছেন তাসকিন আহমেদ। তাঁকে সঙ্গ দেয়ার জন্য থাকবেন খালেদ আহমেদও। মিরপুরের স্পিনিং উইকেটে তিন স্পিনার ও দুই পেসার নিয়েই দল সাজাতে চায় বাংলাদেশ।