সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ছক্কা ছাড়া যেন কোনো ম্যাচ কল্পনায় করা যায় না। তবে ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে এমনও কিছু ব্যাটাররাও এসেছেন, যাদের অভিধানে খুঁজে পাওয়া যায়নি ছক্কা নামক শব্দটা। শত চেষ্টার পরও বলকে সীমানা ছাড়া করতে পারেননি এ সব ব্যাটাররা৷
এই যেমন ভারতের মনোজ প্রভাকর। ক্যারিয়ারে ১৩০ টা ওয়ানডে খেলেছেন। নিজের নামের পাশে রয়েছে ২ টি শতক ও ১১ টি অর্ধশতক। বর্ণিল ক্যারিয়ারে ৩০৮৩ টি বল মোকাবেলা করেছেন। কিন্তু তাতে একটিও ছক্কা মারতে পারেননি এ ব্যাটার৷
জিম্বাবুয়ের সাবেক ব্যাটার ডিওন ইব্রাহিমের ক্যারিয়ার জুড়েও রয়েছে ছক্কার আক্ষেপ। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৮২টি ওয়ানডে খেলেছেন। এ সময়কালে ২৫৪০ টা বল তিনি সামলেছেন। কিন্তু ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটারের রেকর্ডবুকে নেই কোনো ছক্কা।
ইংলিশ ক্রিকেট ইতিহাসে জিওফ্রে বয়কটের নাম সামনের সারিতেই থাকবে। যদিও লাল বলের মতো অতটা বর্ণিল হয়নি বয়কটের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। ৩৬ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ১টি শতক ও ৯টি অর্ধশতক রয়েছে। তবে ২০২০ টি বল খেলেও কখনোই তিনি ছক্কা হাঁকাতে পারেননি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৮ ওয়ানডের ক্যারিয়ার স্টিভেন ব্যারি স্মিথের। সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে মন্দ করেননি এ অজি ব্যাটার। ২ সেঞ্চুরি ও ৮ হাফসেঞ্চুরিতে প্রায় ৪০ গড়ে ৮৬১ রান করেছেন। কিন্তু ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৩১৯ টা বল খেলেও একটি ছক্কা হাঁকাতে পারেননি সাবেক এ অজি ব্যাটার।
ছক্কার সংকটে জর্জরিত হয়েছেন বাংলাদেশের বর্তমান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহেও। লঙ্কানদের হয়ে ৩৩ ম্যাচে ৩ টা অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। কিন্তু ছোট্ট ক্যারিয়ারে ১৩১৮ বল খেলেও একটি ছক্কা মারতে পারেননি সাবেক এ ক্রিকেটার।
ছক্কাশূন্যতায় ভুগেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম পরিচিত মুখ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৭টি ওয়ানডে খেলেছেন বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটার।
২৭ ম্যাচের এই সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে ২টি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ৪৫৩ রান। কিন্তু ৯০৯ টা বল খেলেও কখনোই বাউন্ডারির সীমানা পেরিয়ে ছক্কা মারতে পারেননি তিনি।