ডাকের পাহাড়ে নেতার বসবাস

রঙিন পোশাকে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল একজন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। তাঁর হাত ধরেই ২০১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলে ইংল্যান্ড। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার অধীনেই ফাইনাল অবধি পৌঁছায় ইংলিশরা। বিচক্ষণ নেতৃত্বের পাশাপাশি ব্যাট হাতে তিনি দুর্দান্ত একজন। তবে ডাকের রেকর্ডেও আছে মরগ্যানের নাম। ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে ১১৫ ইনিংস ব্যাটিং করে ১১ বার তিনি ফিরেছেন শূন্য রানে।

ক্রিকেটে প্রচলিত বেশ কিছু শব্দের মধ্যে অন্যতম হলো ডাক। ডাক কিংবা শূন্য রানে আউট হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতাটা কেই বা নিতে চায়? বাইশ গজে ডাকের কীর্তি গড়া ব্যাটারদের তালিকাটা বেশ লম্বা। শূন্য রানে আউট হয়ে ক্যারিয়ারে অনেকেই লজ্জার রেকর্ডে নাম তুলেছেন।

ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডাক মারা ক্রিকেটারদের চারজনই বাইশ গজের অন্যতম সেরা তারকা। অধিনায়ক হিসেবে দলকে যেমন দেখিয়েছেন সফলতার পথ, তেমনি শূন্য রানে বেশ কয়েকবার আউট হয়ে ডাকের রেকর্ডেও নাম তুলেছেন অনেকে।

অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে সর্বোচ্চবার শূন্য রানে আউট হওয়া ক্রিকেটারদের সবাই অবশ্য লম্বা সময় ধরে খেলেছেন। অনেক ম্যাচ খেলার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই ডাক কীর্তিতে এগিয়ে গেছেন তারা। যদিও ব্যাট হাতেও এই তারকা ছিলেন নিজেদের সময়ে অন্যতম সেরা।

  • অর্জুনা রানাতুঙ্গা (শ্রীলঙ্কা) – ১৪ বার

ওয়ানডে ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ডাক মেরেছেন সাবেক লঙ্কান তারকা অর্জুনা রানাতুঙ্গা। আবার তিনিই শ্রীলঙ্কা তো বটেই, আধুনিক ক্রিকেটের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা অধিনায়ক। অধিনায়ক হিসেবে ১৯৩ টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে ব্যাট হাতে ১৮৩ ইনিংসে ১৪ বার তিনি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। লঙ্কানদের ইতিহাসের অন্যতম সফল অধিনায়কও ছিলেন তিনি।

অথচ, তাঁর অধীনেই ১৯৯৬ বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলে শ্রীলঙ্কা। ১৯৩ ম্যাচে রানাতুঙ্গার অধীনে ৮৯ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে লঙ্কানরা।

  • স্টিফেন ফ্লেমিং (নিউজিল্যান্ড) – ১৪ বার

তর্কযোগ্যসাপেক্ষে সর্বকালের অন্যতম সেরা একজন অধিনায়ক সাবেক ব্ল্যাকক্যাপস তারকা স্টিফেন ফ্লেমিং। নিউজিল্যান্ডের এই তারকা ক্রিকেটার লম্বা সময় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে খেলেছেন ২১৮ ম্যাচ।

এর মধ্যে ব্যাট হাতে ২০৮ ইনিংসের ১৪ ইনিংসে তিনি ফিরেছেন শূন্য রানে। ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডে রানাতুঙ্গার পাশে অবস্থান ফ্লেমিংয়ের।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের অধিকারী তিনি। নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা হিসেবে পরিচিত ফ্লেমিং।

  • ইয়ন মরগ্যান (ইংল্যান্ড) – ১১ বার

রঙিন পোশাকে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল একজন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। তাঁর হাত ধরেই ২০১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলে ইংল্যান্ড।

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার অধীনেই ফাইনাল অবধি পৌঁছায় ইংলিশরা। বিচক্ষণ নেতৃত্বের পাশাপাশি ব্যাট হাতে তিনি দুর্দান্ত একজন। তবে ডাকের রেকর্ডেও আছে মরগ্যানের নাম। ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে ১১৫ ইনিংস ব্যাটিং করে ১১ বার তিনি ফিরেছেন শূন্য রানে।

অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে খেলেছেন ১২৬ ম্যাচ। এই ১২৬ ম্যাচের ৭৬টিতেই জয় পেয়েছে ইংলিশরা।

  • মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা) – ১১ বার

শ্রীলঙ্কার সোনালি যুগের সেরা তারকাদের একজন মাহেলা জয়াবর্ধনে। লঙ্কানদের জার্সি গায়ে দীর্ঘসময় অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন ১৩০ ম্যাচ। এর মধ্যে ৭২টিতে জয়ের দেখা পেয়েছে লঙ্কানরা। ব্যাট হাতে ১২০ ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে।

এই ১২০ ইনিংসে মোট ১১ বার তিনি আউট হয়েছেন শূন্য রানে। অবশ্য ব্যাট হাতে ওয়ানডেতে লঙ্কানদের জার্সি গায়ে তিনি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসের এক মহাতারকা মাহেলা জয়াবর্ধনে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...