বিপিএলের দামামা বেজে উঠেছে। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর সময় এলেই আলোচনা, উন্মাদনার চেয়ে বিতর্কের সুরই যেন বেশি বাজে। তবে বিপিএলের ইতিহাসটা কিন্তু মোটেই ছোট নয়।
গুণে গুণে নয়টা আসর দেখেছে পুরো বিশ্ব। আর সেই নয় আসরে কীর্তি, স্মৃতি সব সঙ্গী হয়েছে ক্রিকেটের আর্কাইভে। কেউ পেয়েছেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিকের তকমা, আবার কেউবা সেঞ্চুরিয়ানের। শূন্যধিরাজদের তালিকাতেও বসেছেন কেউ কেউ।
এই যেমন এনামুল হক বিজয়। বিপিএলের মঞ্চে শূন্য মারার প্রতিযোগিতায় তিনিই রয়েছেন আপাতত শীর্ষে। ১০১ টা ইনিংস খেলেছেন। তাতে ১১ টা ‘ডাক’ রয়েছে তাঁর।
তবে, ‘শূন্য’-এ শীর্ষে থাকলেও বিপিএলের ইতিহাসে যে ৬ ব্যাটার ২০০০ রানের মাইলফলক পেরিয়েছেন তার মধ্যে এনামুল হক বিজয় একজন। এখন পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ৬-এ।
এনামুল হকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শূন্য যুগ্মভাবে মাশরাফি ও ইমরুল কায়েসের। দুজনই ১০ বার করে বিপিএলে শূন্যতে আটকেছেন। একটা সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ ‘ডাক’-এর রেকর্ডটা ইমরুল কায়েসরই ছিল।
বিপিএলের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ‘ডাক’ সংখ্যাকে দুই অঙ্কে উন্নীত করা প্রথম ব্যাটার যে তিনিই। তবে সর্বোচ্চ শূন্য মারার তালিকায় এ দুই ক্রিকেটার দ্বিতীয় স্থানে থাকলে বিপিএল ক্যারিয়ার রীতিমত তাদের পূর্ণ। দুজনই ৪ বার শিরোপা জিতেছেন। বিপিএলের ইতিহাসে সফল দুই অধিনায়কও এ দুই জন।
মাশরাফি, কায়েসের পর বিপিএলের মঞ্চে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ বার ডাক মেরেছেন সাব্বির রহমান। এরপর ৮ টা করে ডাক মারার রেকর্ড রয়েছে ৫ ব্যাটারের। রনি তালুকদার, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুনের সাথে এই তালিকায় রয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। উল্লেখযোগ্য নামগুলোর মধ্যে ৬ বার ডাক মেরেছেন তামিম ইকবাল।
এর মধ্যে একবার টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে ফিরেছিলেন এই ওপেনার। তবে বিপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় এখন পর্যন্ত তিনিই রয়েছেন শীর্ষে।
বিপিএলে ১০০ ম্যাচে ৯৭ ইনিংসে সাকিবের ডাক সংখ্যা ৫ টি। সাকিবের মতো মিরাজও শূন্য রানে ফিরেছেন ৫ বার। তবে তিনি সাকিবের চেয়ে ৩৩ টি ইনিংস কম খেলেছেন।
বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ শূন্য শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা। বিপিএলে ৭৮ ইনিংস তিনি শূন্য রানে ফিরেছেন ৬ বার। পেরেরার পর ৫ টি করে ডাক আছে দুই ক্যারিবিয়ান কেভিন কুপার ও সুনীল নারাইনের।