সুজন/রুট কিংবা ২০০৩/২০২১

জো রুটের সামনে এবার দুটো রেকর্ড স্পর্শ করার হাতছানি ছিল। একটি হলো এক পঞ্জিকাবর্ষে টেস্টে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড। আরেকটা রেকর্ড অবশ্য দলগত। এক বছরে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ হারের রেকর্ড। প্রথমটা রুট অল্প কিছু রানের জন্য ছুতে পারেননি। তবে ইংল্যান্ড এক বছরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ডটা ঠিকই করেছেন।

জো রুটের সামনে এবার দুটো রেকর্ড স্পর্শ করার হাতছানি ছিল। একটি হলো এক পঞ্জিকাবর্ষে টেস্টে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড। আরেকটা রেকর্ড অবশ্য দলগত। এক বছরে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ হারের রেকর্ড। প্রথমটা রুট অল্প কিছু রানের জন্য ছুতে পারেননি। তবে ইংল্যান্ড এক বছরে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ডটা ঠিকই করেছেন।

ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য এক সময় কাটিয়েছেন জো রুট। এবছর টেস্ট ক্রিকেটে হাজারের বেশি রান করা একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। শুধু হাজারের ঘর ছুয়েছেন তাই নয়। এবছর ইংল্যাল্ডের হয়ে ১৫ টেস্ট ম্যাচ খেলে ৬১ গড়ে করেছেন ১৭০৮ রান। ফলে এক বছরে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনি এখন আছেন তিন নম্বর অবস্থানে। এক বছরে তাঁর চেয়ে বেশি রান করার রেকর্ড এখন শুধু স্যার ভিভ রিচার্ডস ও মোহম্মদ ইউসুফের।

মোহম্মদ ইউসুফ ২০০৬ সালে পাকিস্তানের হয়ে করেছিলেন ১৭৮৮ রান। সেবছর খেলা ১১ টেস্টে ৯৯.৩৩ গড়ে ব্যাটিং করেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। এক বছরেই করেছিলেন ৯ টি সেঞ্চুরি। ওদিকে ভিভ রিচার্ডস ১৯৭৬ সালে ১১ টেস্টে করেছিলেন ১৭১০ রান। সেবছর তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৯০.০০।

ভিভ রিচার্ডসের থেকে এবছর মাত্র ২ রান কম করেছেন জো রুট। এর মধ্যে ২২৮ রানের বিশাল এক ইনিংসও খেলেছেন রুট। এছাড়া সেঞ্চুরি করেছেন মোট ৬ টি। তবে অধিনায়ক হিসেবে একেবারের ভুলে যাওয়ার মত এক সময় কাটিয়েছেন জো রুট। ইংল্যান্ড এবছর করেছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ম্যাচ হারের রেকর্ড।

ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট এবার নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন সুজনের পাশে। ২০০৩ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ম্যাচ হারার লজ্জা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মোহম্মদ সুজন। তখন সবেমাত্র টেস্ট ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ হেরেছিল সবগুলো ম্যাচই। সেই সময়টায় বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

এক বছরে সর্বোচ্চ টেস্ট হার

  • ইংল্যান্ড – ৯ টি (২০২১)
  • বাংলাদেশ – ৯ টি (২০০৩)
  • ইংল্যান্ড – ৮ টি (১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৯৩ ও ২০১৬)
  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৮ টি (২০০৪, ২০০৫ ও ২০১৫)
  • বাংলাদেশ – ৮ টি (২০০২ ও ২০০৮)

২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস পরাজয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড সবার সাথেই হেরেছিল। সবমিলিয়ে সে বছর ৯ টেস্ট খেলে ৯ ম্যাচেই হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ইংল্যান্ড অবশ্য বছরটা শুরু করেছিল জয় দিয়েই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২১ সালের শুরুতেই গলে টেস্ট ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ড। পরের টেস্টেও লংকানদের হারিয়েছিল ইংল্যান্ড।

এরপর ভারতে টেস্ট খেলতে গিয়েও দারুণ শুরু করেছিলেন ভারতে। চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ২২৭ রানে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতে যায়। তবে এরপরই খারাপ সময় শুরু হয় ইংল্যান্ডের। ভারতের সাথে টানা তিন ম্যাচে হার। এমনকি সিরিজের শেষ ম্যাচটা ইনিংস ব্যবধানেও হেরেছে ইংল্যান্ড। এরপর ঘরের মাঠেও ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট হেরেছে। মাঝে শুধু লিডসে ভারতে বিপক্ষে একটি জয় পায় রুটরা।

ফলে সব মিলিয়ে এবছর মোট ৯ টি টেস্ট ম্যাচ হারে ইংল্যান্ড। তাই বাংলাদেশের পাশে ইংল্যান্ড ও খালেদ মাহমুদ সুজনের পাশে নাম উঠলো জো রুটের। এছাড়া এক বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ ম্যাচে হারের রেকর্ডও আছে ইংল্যান্ডের। ১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৯৩ ও ২০১৬ সালে মোট চারবার ইংল্যান্ড ৮ টি করে টেস্ট হারে।

এছাড়া বাংলাদেশও বছরে ৮ টি টেস্ট হেরেছে ২০০২ ও ২০০৮ সালে। বছরে ৮ টি টেস্ট হারার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও আছে। ২০০৪, ২০০৫ ও ২০১৫ সালে এই খারাপ সময় গুলো কাটিয়েছে ক্যারিবীয়রা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...