জয়সওয়ালের প্রতিভা নিয়ে মুগ্ধতা ছিলো প্রথম থেকেই। তবে এমন রুদ্রমূর্তির জয়সওয়ালকে দেখা গেছে খুব কমই। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে রাজস্থানকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন জয়সওয়াল। তবে সুরিয়াকুমার,টিম ডেভিডদের ব্যাটে চড়ে তিন বল আগেই ২১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকে যায় মুম্বাই। জয়সওয়ালের দারুণ এক সেঞ্চুরি ম্লান হয় সুরিয়া, ডেভিডদের খুনে ব্যাটিংয়ে। ছয় উইকেটে রাজস্থানকে হারায় মুম্বাই।
মুম্বাইয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বরাবরের মতই যশস্বী জয়সওয়াল আর জস বাটলারের ব্যাটে চড়ে দারুণ সূচনা পায় রাজস্থান। এদিক অবশ্য প্বার্শনায়কের ভূমিকায় ছিলেন বাটলার। শুরু থেকেই মুম্বাই বোলারদের তুলোধুনো করছিলেন জয়সওয়াল। দলীয় ৭২ রানে পিয়ুশ চাওলার বলে জস বাটলার আউট হলে প্রথম ব্রেকথ্রু পায় মুম্বাই।
রাজস্থান ইনিংসের বাকি ব্যাটারদের এদিন যেন দাঁড়িয়ে জয়সওয়ালের ব্যাটিং দেখাটাই ছিলো কাজ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতকে জয়সওয়াল যেন ক্রিকেট অবিধানের সব রকমের শটের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন। নিজের মুখোমুখি হওয়া চতুর্থ বলে ক্যামেরন গ্রিনকে বাউন্ডারি মেরে শুরু।
এরপর ৩২ বলে অর্ধশতক স্পর্শ করেন এই ব্যাটার। অর্ধ শতকের পর আরো আগ্রাসী জয়সওয়াল। ৫০ থেকে ১০০ তে পৌঁছাতে তাঁর লাগলো মোটে ২১ বল। ৯২ রান থেকে পর পর দুটি বাউন্ডারি মেরে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ২০২০ অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা এই খেলোয়াড়।
৬২ বলে ১২৪ রানের ইনিংসে ছিলো আটটি ছক্কা ও ১৬ টি চারের মার। বাউন্ডারি থেকেই ১১২ রান করেছেন জয়সওয়াল। যা আইপিএলে ভারতীয় হিসেবে সর্বোচ্চ।ইনিংসের শেষ ওভারে আর্শাদ খানের বলে আউট হন তিনি। জয়সওয়াল শো’ তে সাত উইকেট ২১২ রানের সংগ্রহ পায় রাজস্থান।
২১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে হারায় মুম্বাই। এরপর ঈশান কিষানের সাথে ক্যামেরন গ্রিনের ৬২ রানের পার্টনার শিপে ঘুরে দাঁড়ায় আইপিএলের সফলতম দলটি। ২৬ বলে ৪৪ রান করে চোখ রাঙাতে থাকা ক্যামেরন গ্রিন ও ঈশান কিষানকে পরপর দুই ওভারে সাজঘরে ফেরান অশ্বিন।
এরপর সুরিয়াকুমার তান্ডব। রাজস্থান বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিতে থাকেন সুরিয়া। ক্রিকেট ব্যাকারণের ভেতরের-বাইরের সব শটে রাজস্থান বোলারদের রীতিমতো অসহায় বানিয়ে মুম্বাইকে জয়ের পথেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মুম্বাই যখন ম্যাচে ফেভারিট তখনই ২৯ বলে ৫৫ রান করা সুরিয়াকে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট।
এরপর শুরু টিম ডেভিড শো। ১৪ বলে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে ৪৫ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে মুম্বাইকে খাদের কিনারা থেকে জয় এনে দেন ডেভিড। শেষ পর্যন্ত তিন বল হাতে রেখেই ছয় উইকেটের জয় পায় মুম্বাই।
নয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়েই আছে রাজস্থান। অন্যদিকে এই জয়ে আট ম্যাচে আট পয়েন্ট মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।