না, পাকিস্তানের মত ভারতকে চমকে দিতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাঁরা টিম ইন্ডিয়ার কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে ঠিকই – আর এমন দিনে দু’দলের হয়েই শিরোনাম হয়েছেন ভারতীয়রা। অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই, কেননা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে নিশ্চয় সবার জানা হয়ে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্কোয়াডে আছেন একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটার।
এই যেমন রোহিত শর্মাকে ফিরিয়েছেন পেসার সৌরভ নেত্রাভালকার; আর তাঁর ক্যাচটা নিয়েছিলেন হারমিত সিং। তিনজনই উঠে এসেছেন মুম্বাই থেকে। এমনকি রোহিত ছিলেন হারমিত সিংয়ের স্কুলের সিনিয়র।
২০০৬ সালে যুব বিশ্বকাপ খেলার পর হিটম্যান যখন স্কুলে গিয়েছিলেন বাচ্চাদের সাথে দেখা করতে তখন হারমিতও ছিলেন ওখানকার এক শিক্ষার্থী। কি জানি, হয়তো রোহিতই সেদিন স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন ছোট্ট হারমিতকে।
আবার ২০০৯ সালে যখন এই স্পিনারের রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় তখন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক ছিলেন তাঁর সতীর্থ। সময়ের পরিক্রমায় এখন তাঁরা দু’জনেই খেলছেন জাতীয় দলে তবে ভিন্ন জার্সিতে।
ভারত যখন ম্যাচে ফেরার প্রাণান্ত চেষ্টা করছিল তখন সুরিয়াকুমার যাদবের ক্যাচ ছেড়ে দলকে পিছিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ। তাঁর সঙ্গেও সুরিয়ার বহু পুরনো সম্পর্ক রয়েছে, ২০১৩ সালে এই বাঁ-হাতি পেসার যখন মুম্বাই রাজ্য দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে প্রথমবার খেলতে নামের তখন এই ব্যাটার ছিলেন তাঁর সতীর্থ।
সহযোগী দেশগুলোর স্কোয়াডে এখন ভারতীয় ক্রিকেটারের আধিক্য চোখে পড়ার মতই। এরা কেউ কিন্তু গুণে মানে পিছিয়ে নেই, হয়তো ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সামর্থ্য কিংবা ভাগ্য তাঁদের নেই তবে বিশ্বমানের পারফরম্যান্স করার জ্বালানি ঠিকই আছে। চলতি বিশ্বকাপেই সেটা প্রমাণ করে যাচ্ছেন সৌরভ, হারমিতরা।