মুশফিক, লড়াই জিইয়ে রাখার লড়াকু সৈনিক

চেন্নাইয়ে এ দিন মাইলফলক ছোঁয়া না হলেও মুশফিক ব্যাট হাতে ছিলেন ঠিকই সপ্রতিভ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে তৈরি হওয়া চাপটাই যেন নিজের ভিতর টেনে আনেননি। উল্টো পাল্টা আক্রমণেই প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি। আর তাতে বিপর্যয় সামলে লড়াই করার মতো এ সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, কুমারা সাঙ্গারাদের পাশে নাম লেখাতে পারতেন আজকেই। তবে ৪ রান দূরে থেকে আপাতত অপেক্ষাই সঙ্গী হচ্ছে মুশফিকের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৬ রানের ইনিংসে বিশ্বকাপের মঞ্চে মুশফিকের বর্তমান রানসংখ্যা ৯৯৬। আর ৪ রান করলেই বিশ্বকাপ ইতিহাসের তৃতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন বাংলাদেশের এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

অবশ্য চেন্নাইয়ে এ দিন মাইলফলক ছোঁয়া না হলেও মুশফিক ব্যাট হাতে ছিলেন ঠিকই সপ্রতিভ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে তৈরি হওয়া চাপটাই যেন নিজের ভিতর টেনে আনেননি। উল্টো পাল্টা আক্রমণেই প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি। আর তাতে বিপর্যয় সামলে লড়াই করার মতো এ সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

যদিও মুশফিকের এ ইনিংসটা ‘অসাধারণ’ হওয়ার পথে শেষ পর্যন্ত শুধু ‘ভাল’ তকমাতেই শেষ হয়েছে। যেভাবে তিনি শুরু থেকে ব্যাট করেছিলেন, তাতে একটা সময় পর্যন্ত কিউই বোলারদের কাছে রীতিমত প্রতিরোধের দেয়াল হয়ে দাড়িয়েছিলেন। তবে ম্যাট হেনরির স্লোয়ার বল শেষমেশ সে দেয়াল ভাঙতে সক্ষম হয়। মুশফিক ফিরে যান ৬৬ রানে।

বাংলাদেশ ইনিংসে চিন্তার শুরু হয়েছিল প্রথম বল থেকেই। ট্রেন্ট বোল্টকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে দাঁড়ানো ম্যাট হেনরির হাতে ধরা পড়েন লিটন দাস। ব্যাস বাংলাদেশের টপ অর্ডার ভাঙন শুরু সেখান থেকেই। এরপর আর কেউ-ই ব্যাটিং দুর্দশার প্রতিচ্ছবি মুছে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। উল্টো ফার্গুসনের বোলিং তোপে একে একে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর ১৬ রানের ব্যবধানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে সেই বিপদকে আস্তে আস্তে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। সঙ্গে পেয়েছিলেন সাকিবকে। আর এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের ৯৬ রানের জুটিতেই কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। যদিও সাকিব ৪০ রানের ফিরে যাওয়ার পর এক প্রকার নিঃসঙ্গ লড়াই চালিয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু শেষমেশ মুশফিকও এ দিন ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে উঠতে পারেননি।

৭৫ বলের ৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ৬৬ রানের ইনিংস খেলার পর ম্যাট হেনরির কাছে ধরা দেন মুশফিক। আর এ উইকেট পতনের পরই পুরনো ব্যাটিং বিপর্যয়ের স্রোতে আবারো ভাসতে শুরু করে বাংলাদেশ। তবে মুশফিক একটা লড়াকু সংগ্রহের ভিত্তি তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন। আর মুশফিকের সেই রেখে যাওয়া কাজটাই শেষ মুহূর্তে সম্পন্ন করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। কোনো মতে লড়াই জিইয়ে রাখার জন্য হলেও ২৪৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...