তারকা সমৃদ্ধ দল রংপুর রাইডার্সকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেলো ফরচুন বরিশাল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আধিপত্য দেখিয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে তাঁরা, আর এই জয়ের অনেকটা জুড়ে আছে মুশফিকুর রহিমের অভিজ্ঞতা। তাঁর দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করেই হটফেভারিটদের হটিয়ে শিরোপার দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে তামিম ইকবালের দল।
এদিন চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ বলে ৪৭ রান করেছেন তিনি। ছয়টি চার এবং একটি ছয়ের মারে সাজানো এই ইনিংসকে সংখ্যাতত্ত্বে বিশেষ মনে না হতে পারে তবে গুরুত্বের দিক দিয়ে ঠিকই মনে রাখার মত – এজন্যই তো ম্যাচ সেরা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে তাঁকে।
আবু হায়দার রনির এক ওভারেই দুই ওপেনার তামিম এবং মেহেদি মিরাজ প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। হুট করে জোড়া উইকেট হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছিল বরিশাল, ঠিক সেসময় ক্রিজে আসেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এরপর আর একটাবারও দলকে ব্যাকফুটে যেতে দেননি তিনি, একেবারে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।
সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়ে শুরুর দিকের বিপর্যয় সামাল দিয়েছিলেন এই ডানহাতি; এই জুটিতে তাঁর অবদান ছিল সিংহভাগ। সৌম্যর বিদায়ের পর কাইল মায়ার্সের সঙ্গে মিলে বোর্ডে আরো পঞ্চাশ রান যোগ করেন তিনি, তাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় মাহমুদউল্লাহদের। তাই তো ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে বাকি আনুষ্ঠানিকতা পূর্ণ করতে তেমন একটা কষ্ট হয়নি আর।
চলতি বিপিএলের সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায় মুশফিকুর রহিমের অবস্থান পাঁচ নম্বরে। তবে ইম্প্যাক্টফুল ইনিংস খেলার ক্ষেত্রে উপরের চারজনের চেয়ে কোন অংশে পিছিয়ে নেই তিনি। দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের মুহুর্তে চওড়া হয়েছে তাঁর ব্যাট, সবমিলিয়ে সফল একটা টুর্নামেন্ট পার করছেন বলাই যায়।
ফাইনালের মহাযুদ্ধের দিনেও এই তারকার দিয়ে চেয়ে থাকবে ফরচুন বরিশাল। সেরা ক্রিকেটারে পরিপূর্ণ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারাতে তাঁর সেরা পারফরম্যান্সই দেখতে চাইবে দলটি। তিনি নিজেও নিশ্চয়ই মুখিয়ে আছেন আরাধ্য শিরোপা জয়ের জন্য, মুখিয়ে আছেন গত আসরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে।